সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশে ক্ষমতার পরিবর্তনে এখানে একটি গোষ্ঠী উচ্ছ্বসিত। এখন বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র বিদ্যমান। এখনো বাংলার আকাশে ষড়যন্ত্রের গন্ধ। সতর্ক থাকতে হবে। সামনের দিনে আরো চ্যালেঞ্জ আছে। এখানে তাদের মতলবটা কী? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি চলছে। ফলে অনেক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। এবার মাঠে নামবে, বিশ্ববিদ্যায়কে ঘিরেই তারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি নিচ্ছে, শেখ হাসিনার সরকার হঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
[৩] শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
[৪] বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামকে এতো প্রশ্ন করি, তিনি জবাব দেন না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মোশতাকের প্রধান সেনাপতি কে ছিলো? বঙ্গবন্ধুর খুনিদের কে বিদেশে পাঠিয়েছিলো? কে খুনিদের বিদেশে চাকরি, পুরস্কৃত করেছিলো? উত্তর দিতে পারবেন না। এ জন্য আগস্ট মাস এলে তাদের গাত্র জ্বালা করে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার তদন্তে কেন স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে তদন্ত করতে দিলো না। কেনো এফবিআইকে আসতে দিলো না।
[৫] তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার পঞ্চম জন্মদিন। আরো একটি জন্মদিন দেখলাম করোনার টিকা নেওয়ার সময় রেজিস্ট্রেশনে। একটা মানুষের দুইটা জন্মদিন হতে পারে। কিন্তু ৬টি জন্মদিন হয় কীভাবে। যদি ৬টি জন্মদিন হয়, তবে বেগম জিয়াকে নোবেল পুরস্কার দিতে হয়। আমি বেগম জিয়ার জন্মদিন নিয়ে কথা বলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ওবায়দুল কাদের শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছেন। আমি হাওয়া থেকে পেয়ে নয়, জীবনী থেকে পাওয়া কথা বলছি। বলেই যাবো যতো দিন না মির্জা ফখরুল জাবাব দেবেন।
[৬] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।