শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট, ২০২১, ০৩:১৪ রাত
আপডেট : ২৫ আগস্ট, ২০২১, ০২:০৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] একবার জাল ফেলেই মিলল ১৭০ মণ ইলিশ, মাঝি পেলেন স্বর্ণের চেইন

অমল তালুকদার:  [২] বরগুনার পাথরঘাটায় এফবি আল মদিনা ট্রলারে একজালে ১৭০ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে। বঙ্গোপসাগরের মৌডুবি বয়া থেকে গভীর সাগর পর্যন্ত জাল ফেলে এসব মাছ ধরা হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটে এ মাছ বিক্রি করা হয়। একসঙ্গে এত মাছ ধরা পড়ায় ট্রলারের মাঝিকে অর্ধলক্ষাধিক টাকার একটি চেইন উপহার দিয়েছেন মালিক।

[৩] জানা গেছে, পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পাথরঘাটা মৎস্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসাইনের মালিকানাধীন এফবি আল মদিনা ট্রলারটি শনিবার পাথরঘাটা থেকে বাজার নিয়ে গভীর সাগরে মাছ শিকারে যায়।

[৪] সেখানে গিয়ে রবিবার রাতে জাল পেতে সোমবার সকালে তুললে প্রচুর মাছ পায়। ট্রলারে মাছ রাখার জায়গা না হওয়ায় দ্রুত পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের (বিএফডিসি) ঘাটে রওনা দিয়ে সোমবার রাতে ঘাটে পৌঁছায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে মাছ বিক্রি শুরু হয়ে দুপুর ১২টায় শেষ হয়। এই মাছ ২১ থেকে ৫২ হাজার টাকা মণ হিসেবে কিনেছেন ১৫ জন পাইকার। এসব মাছ বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকায়।

[৫] এফবি আল মদিনা ট্রলারের মাঝি মো. ইমরান হোসেন বলেন, একসঙ্গে এত মাছ কখনও দেখিনি। বেশ কয়েক দিন ধরে শুনছিলাম মাঝিরা মাছ না পেয়ে ফিরে আসছেন। কিন্তু এত মাছ পাওয়ায় আমরাই অবাক হয়েছি। আল্লাহ আমাদের সহায় ছিল। তাই আমরা এত মাছ পেয়েছি। মালিক খুশি হয়ে আমাকে একটা স্বর্ণের চেইন উপহার দিয়েছেন। কয়েক দিন যাত্রাবিরতি দিয়ে আবার গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবো।

[৬] এফবি আল মদিনা ট্রলারের মালিক এনামুল হোসাইন বলেন, বর্তমানে ইলিশের ভরা মৌসুম। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়েনি। গভীর সমুদ্রে লাল জালের ট্রলারে কিছু কিছু মাছ ধরা পড়ছে। তবে অনেকেই অল্প মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরেছেন।

[৭] এনামুল হোসাইন আরও বলেন, আমার ট্রলারের জাল প্রায় তিন কিলোমিটার লম্বা এবং ৩০ হাত খাড়া হওয়ায় বেশি পানিতে মাছ শিকার করা যায়। এ কারণেই বেশি মাছ পেয়েছেন ইমরান মাঝি।

[৮] বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ইলিশের ভরা মৌসুম হলেও এখন পর্যন্ত জেলেরা সেভাবে ইলিশের দেখা পাননি। মাঝে মধ্যে দু-একটি ট্রলারে মাছ ধরা পড়ছে। তবে একসঙ্গে এত মাছ এর আগে কারও জালে ধরা পড়েনি। সম্পাদনা: সঞ্চয় বিশ্বাস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়