হারুন-অর-রশীদ: [২] ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সদ্যষোষিত কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন জনি সাদ্দাম নামে একজন যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক। সোমবার (২৩ আগস্ট) রাতে তিনি এই পদত্যাগপত্র জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদকের নিকট প্রদান করেছেন বলে জনি সাদ্দাম নিশ্চিত করেছেন।
[৩] এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তিনি ওই পদত্যাগপত্রের একটি ছবি পোস্ট করেছেন।
জনি তাতে জানিয়েছেন, পারিবারিক কারণে তিনি দ্বায়িত্ব পালন করতে পারছেন না বলে পদত্যাগপত্র দিলেন।
[৪] ইতোপূর্বে জনি সাদ্দাম শহর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িয়ে তিনি এ পর্যন্ত ছয়টি রাজনৈতিক মামলার আসামী। সাতবার তাকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে।
ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে নিউমার্কেটে তাদের পৈত্রিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এনিয়ে সালিশ দরবারও হয়।
[৫] দলের প্রতি এমন একজন ডেডিকেটেড কর্মীর এভাবে পদত্যাগকে মোটেই পারিবারিক কারণ বলে মানছেন না তার পরিচিতরা। ফেসবুকে এ সংক্রান্ত পোস্ট দেয়ার পর তার ভক্ত-সমর্থকদের মন্তব্যে উঠে এসেছে এ প্রতিক্রিয়া। তারা মনে করছেন, বিরোধী দলে থেকে এতো মামলা-নির্যাতন সহ্য করেও তাকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। জনির চেয়ে অনেক জুনিয়র কর্মীকেও কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে বসানো হয়েছে। এতে জুনিয়রিটি-সিনিয়রিটি সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই অভিমান থেকেই পদত্যাগ।
[৬] এব্যাপারে ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান কায়েস বলেন, কমিটিতো কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষর করে প্রকাশ করেছেন। তাই জনি সাদ্দামের এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার এখতিয়ার আমাদের নেই। পদত্যাগ করতে হলে কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট জমা দিতে হবে।
[৭] তিনি বলেন, কমিটি তৈরির জন্য গঠিত সুপার ফাইভ টিম একসাথে সমন্বয় করে কমিটি করতে পারেনি বিধায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপে এই কমিটি জমা দেয়া হয়েছে।
[৮] এতে জানা গেছে, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম এই কমিটি গঠনের দ্বায়িত্ব পায়। তাদের নিকট দু'টি পক্ষ হতে দেড়শো ও একশো সবমিলিয়ে আড়াইশো জনের তালিকা দেয়া হয়। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি তখন কারাগারে ছিলেন। তবে নামের তালিকা আগেই করা ছিলো।
[৯] অবশ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারা যেভাবে নামের সাথে পদের সুপারিশ করেছিলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তা সেভাবে অনুসরণ করা হয়নি। এখানে তদবিরের সুবাদে অনেককে ভালো পদ দেয়া হয়েছে। আর কমিটি ঘোষণার প্রায় দশদিন আগেই জেলা সভাপতি কারামুক্ত হয়েছেন। কিন্তু কমিটি প্রকাশের আগে জেলা নেতৃবৃন্দকে তার চূড়ান্ত খসড়া দেখানো হয়নি। এসব বিষয় নিয়ে তারা বিব্রত।
[১০] জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু বলেন, এর আগে রাজিব ভাই ও আকরাম ভাইয়ের সময় আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়েছিলাম অনুমোদনের জন্য। এরপর সম্প্রতি কারাগারে যাবার দু'একদিন আগে বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি খোকন ভাই ও সেক্রেটারী শ্যামল ভাইদের অনেক রিকোয়েস্ট এবং ছাত্রনেতাদের ডেডিকেশন উল্লেখ করে বলেছিলাম। কারাগারে থাকতে কমিটি হয়ে গেলেও হয়তাে প্রিন্টিং মিসটেক এর পাঁচসাতজন কষ্ট পেতাে না আমার উপর। সভাপতির জায়গা থেকে দায় মেনে নেয়াটাই সৌজন্য। তবুও আমরা ওই কয়েকজনের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবাে। যেহেতু মাঝে যােগ্যতা সম্পন্ন টিম আছে ।
আপনার মতামত লিখুন :