আশরাফুল নয়ন : [২] নব্বয়ের অন্যতম কবি ও কথাশিল্পী মমিনুল হক তালুকদার আর নেই। সকলকে রেখে তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে। গতকাল সোমবার (২৩ আগষ্ট ২০২১) নাটোর তাঁর শ্বশুরালয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
[৩] মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন রোগের কারণে বেশ কয়েক মাস যাবৎ শয্যাশায়ী ছিলেন। সোমবার রাতেই তাঁর মরদেহ নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার দ্বীপচাঁদপুর গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মরহুমের নিজ বাসভুবনে যোহর নামাজে-জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে।
[৪] মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক পুত্র সন্তানসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। কবি মমিনুল হক তালুকদার পেশায় ছিলেন একজন শিক্ষক। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ তৃষিত জ্যোৎস্নায় চাঁদের হাসি।
[৫] তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক এবং পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে শিল্প সাহিত্যের আঁতুরঘর খ্যাত আটচালার সভাপতি কবি শাহীন খন্দকার বলেন, তাঁকে হারালাম। ডাকতাম চল্লিশোর্ধ্ব তরুণ। কী অমায়িক আর সরল! ভেবেছিলাম, তিনি উঠে দাঁড়াবেন আর ফিরিয়ে দিবেন প্রতিটি আঘাত। কিন্তু তিনি এখন একটি ক্রন্দন। বুকভাঙা। উচ্চকিত।
[৬] নওগাঁ সাহিত্য পরিষদের সভাপতি আশরাফুল নয়ন বলেন, নওগাঁয় আমরা যে কয়জন সাহিত্য পাগল আছি, আমরা একটি অভিভাবক হারালাম। তাঁর সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, চিরকাল অম্লান হয়ে থাকবে আমাদের মাঝে।
[৭] তাঁর মৃত্যূতে বিদেহী আত্মার প্রতি মাগফেরাত কামনা করে শোক প্রকাশ করেন কবি ও কৃষিবন্ধু হাবিব রতন, কবি সুমন সৈকত, কবি ও সম্পাদক অনিন্দ্য তুহিন, কবি রবিউল মাহমুদ, কবি রিমন মোরশেদ, কবি এস এইচ নীর, কবি রফিক বকুলসহ অসংখ্য গুণীজন। সম্পাদনা:সঞ্চয় সবশ্বাস