ডেস্ক নিউজ: নওগাঁর মহাদেবপুরে মিঠুন চৌধুরী নামে এক নার্সারি ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে টর্চার সেলে তিনদিন আটকে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। স্বামীকে উদ্ধার করতে স্ত্রী গেলে তার ওপরও চালানো হয় বর্বর নির্যাতন। কেটে দেয়া হয় মাথার চুল। টাকা নেয়ার পর স্বাক্ষর নেয় ফাঁকা ষ্ট্যাম্পে।
এ ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (২২ আগস্ট) রাতে মহাদেবপুর উপজেলার বোয়ালমারীর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে শ্যামলী বাদী হয়ে প্রধান অভিযুক্ত রুহুল আমিন ও তার দুই স্ত্রীসহ চার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ডিবিসি টিভি, বাংলা নিউজ
নির্যাতনের শিকার শ্যামলী জানান, নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার উত্তর মামুদপুর গ্রামের কৃষ্ণ চৌধুরীর ছেলে মিঠুন চৌধুরীর নার্সারি থেকে বিভিন্ন জাতের চারাগাছ কিনতেন মহাদেবপুর উপজেলার বোয়ালমারী মোড়ের বয়লার ব্যবসায়ী মৃত আবুল কালামের ছেলে যুবদল নেতা রুহুল আমিন। গত ১৫ আগস্ট সকালে রুহুল তার কাজ করার জন্য মিঠুনকে ডেকে মহাদেবপুরে রুহুলের বয়লারে নিয়ে আসে। সেখানে তার বয়লারের সামনে অবস্থিত টর্চার সেলে মিঠুনকে আটকে রেখে মোবাইল ফোনে তার স্ত্রীকে ১০ হাজার টাকা পাঠাতে বলে। তার স্ত্রী শ্যামলী রাণী তার মায়ের গলার সোনার মালা বন্ধক রেখে বিকাশে ১০ হাজার টাকা পাঠান। কিন্তু রুহুল ও তার লোকেরা আরো টাকা চায়। টাকা না পেয়ে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মিঠুনের পায়ের রগ কেটে দেয়, প্লায়ার দিয়ে চিমটিয়ে হাতের আঙ্গুল জখম করে, হাতুড়ি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। তাকে ঠিকমত খেতেও দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, নির্যাতিতরা অভিযোগ না দেয়ায় কোন ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। তবে আজ এ বিষয়ে একটি অপহরণ মামলা হয়েছে এবং রুহুলের দুই স্ত্রী রুবাইয়া ইসলাম ও মুক্তা পারভিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রুহুলকেও দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় সোপর্দ করা হবে।