মো: রেদওয়ানুল হক : [২] জেলার একটি মাদরাসার খেলার মাঠে চাষ করা হচ্ছে ধান। করোনায় দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেসরকারি এই মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছে না। তাই মাদরাসা সুপার অফিস সহকারীকে অনুমতি দিয়েছেন ধান চাষ করার।
[৩] জানা যায়, জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের চন্দন চহট আলহাজ ইমারউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসাতে খেলার মাঠে এখন চাষ হচ্ছে ধান। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠে রোপণ করা হয়েছে ধান। এ কাজে সহায়তা করছেন মাদরাসার সুপার মমতাজ আলী নিজেই। অনুমতি দিয়েছেন মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতিও।
[৪] অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, দেড় বছর যাবত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ছেলে-মেয়েরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। কিন্তু এই সুযোগে মাদরাসার মাঠে ধান চাষ করা কর্তৃপক্ষের ঠিক হয়নি। এতে মাদরাসার মাঠে খেলাধুলার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে।
[৫] এব্যাপারে মাদরাসার সুপার মমতাজ আলী জানান, ১৯৯৫ সালে আমরা মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করি। এরপর থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাদরাসার কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতন দিতে পারি না। অফিস সহকারী অনুরোধে করোনাকালে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে ধান চাষের অনুমতি দিয়েছি।
[৬] মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেনের কাছে ধান রোপণের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদরাসটি এমপিও ভুক্ত হয়নি। করোনার জন্য বন্ধও রয়েছে। তাই ফেলে না রেখে অফিস কর্মচারী ধান রোপণ করেছেন।
[৭] রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে ধান চাষ করার কোনো বিধান নেই। মাঠটি খেলার জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য উম্মুক্ত থাকবে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :