রুবেল মজুমদার : [২] কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাস এলাকায় একটি সেলুনে দেলোয়ার হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে পা ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর ওই যুবকের রক্তাক্ত লাশ বস্তায় ভরে রাখা হয়েছিল। সেলুনের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
[৩] এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে মনোহরগঞ্জ উপজেলার চিতোষী এলাকা থেকে অভিযুক্ত সেলুনের মালিক লক্ষণ চন্দ্র শীল গ্রেফতার করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লা।
[৪] গ্রেপ্তার লক্ষ্মণ কুমিল্লা সদর উপজেলার আমতলী এলাকার মৃত নিখিল চন্দ্র শীলের ছেলে। কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাস এলাকার সেনা মিলনায়তন মার্কেটে লক্ষণ হেয়ার কাটিং নামে তার সেলুন দোকান রয়েছে।
[৫] অভিযুক্ত লক্ষণ প্রতিবেদককে বলেন, দীর্ঘদিন দেলোয়ার টাকা নিয়ে ঘুরাঘুরি করছিলো। টাকা না দিয়ে উল্টো হুমকি ধমকি দিত। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মারার পরিকল্পনা করে লক্ষণ। ঘটনার রাতে দোলোয়ার দোকানে এলে তার শরির ম্যসেজ সহ নানা কথায় রাত গভীর হয়। রাত আনুমানিক ১টার পর মার্কেট বন্ধ ও নিরব হলে দেলোয়ার চেয়ারে বসে বিশ্রামরত অবস্থায় দোকানে আগেই তৈরি করে রাখা দা ও চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
[৬] পিবিআইর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, দেলোয়ারের কাছে পাওনা ৩লক্ষ টাকা নিয়ে বেশকিছু দিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিলো তাদের মধ্যে। লক্ষণের বক্তব্য অনুযায়ী পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো হুমকি ধমকি দেয়ার জেরেই দেলোয়ার কে ফোনে ডেকে এনে দোকানে বসিয়ে বডি ম্যসেজ শেষে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নৃশংস ভাবে হত্যা করে।
[৭] এপর লাশ বস্তায় ভরে ভোররাতে দোকানের বাইরে দিয়ে তালা লাগিয়ে আমতলি তার নিজের বাড়ির উঠানে মাটির নিচে গর্ত করে নিহত দেলোয়ারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি লুকিয়ে রাখে। এরপর গোসল শেষে স্ত্রীর কাছ থেকে ১হাজার টাকা নিয়ে সকাল ৭টায় চাঁদপুর চলে যায়। এরপর ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করতে থাকে। অবশেষে ২২ আগষ্ট দুপুর ২টায় মনোহরগঞ্জ উপজেলার চিতোশী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় ।
[৮] উল্লেখ্য গত ২০আগষ্ট রাতে ময়নামতি সেনা মিলনায়তন মার্কেটের সেলুনে ভাঙ্গারী মালের ব্যবসায়ী দেলোয়ার নামের যুবককে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে পালিয়ে যায় লক্ষণ শীল। অতঃপর আটক লক্ষণ কে নিয়ে বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হচ্ছে।