আজিজুল ইসলামঃ [২] সংগ্রহ অভিযানের সাড়ে তিনমাস পেরিয়ে গেলেও যশোরের বাঘারপাড়ায় সরকারিভাবে খাদ্যগুদামে চলতি বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক ও অর্জিত হয় নি।
[৩] এবিষয়ে কৃষি বিভাগ বাজারে দাম বেশি থাকায় চাষিরা সরকারি গুদামে নির্ধারিত মুল্যে ধান বিক্রয়ে মোটেই আগ্রহী নন। যদিও এবার ধানের উৎপাদন এবার বেশি। এদিকে চাষিরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত যে দামে ধান কিঞ্ছেন সেটি মূলত মোটা ধানের দাম।কিন্তু বাঘারপাড়ায় মোটা ধানের আবাদ নামে মাত্র। কৃষক ধান পাকার সাথে সাথে দ্রুত কেটে বাজারের উচ্চ মুল্যে বিক্রি করে নিজেদের ধারদেনা মিটিয়েছেন। চড়া দামে ধান বিক্রি করতে পারায় কৃষকরা লাভবান হয়েছেন।
[৪] এরফলে বাজার থেকে চড়া দামে ধান কিনে লোকসান গুনতে চাননি মিল মালিকেরা। যদিও কেউ কেউ লাইসেন্স বাঁচাতে লোকসান দিয়েও চাল সরবরাহ করেছে বলে কয়েকজন মিল মালিক একথা জানান।
[৫] উপজেলার খাজুরা বাজারে অবস্থিত একমাত্র খাদ্য গুদাম সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার নির্দ্ধারিত ২৭ টাকা কেজি দরে ২ হাজার ১শ’৪৪ মেট্রিক টন ধান এবং ৪৩ জন মিলারের কাছ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে ২ হাজার ৫ শ’ ৪২ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
[৬] গত ২৮ এপ্রিল থেকে সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে এবং আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলমান থাকবে। শুরু থেকে গত বুধবার (১৮ আগষ্ট ) পর্যন্ত কার্ডধারী কৃষকদের কাছ থেকে ১২৪ মেট্রিক টন ধান এবং মিলারদের কাছ থেকে ৮ শ’ ৩৬ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে সুত্র জানিয়েছে।
[৭] অন্যদিকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, এবছর উপজেলায় ১৫ হাজার ৯ শ’ ১৫ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৭১ হাজার ৯ শ’ ৭২ মেট্রিকটন বোরোধান উৎপাদন হয়েছে। তার পরেও নির্দ্ধারিত মাত্র ২ হাজার ১শ’৪৪ মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
[৮] উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের কৃষক বাবলু বিশ্বাস বলেন, এবার ধান কাটার শুরুতেই স্থানীয় বাজারে ১১ শ ‘ টাকা থেকে ১২ শ’ টাকা পর্যন্ত মন দরে ধানের দাম পেয়েছি। স্থানীয় বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করিনি। একই কথা বলেন ,রায়পুর ইউনিয়নের দেয়াড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা। তাছাড়া গুদামে ধান বিক্রি তে ঝক্কি ঝামেলা ম্যালা।
[৮] বাঘারপাড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফাতেমা সুলতানা আমাদের নতুন সময়কে জানান, লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও এখনো সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে । চুক্তিবদ্ধ যেসব মিলাররা চাল সরবরাহ করেন নি তাদের বিরুদ্ধে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ