মনিরুল ইসলাম: [২] রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। তিনি বলেন, ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিলো আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।
শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ২১ আগস্ট উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এ কথা বলেন।
[৩] বাণীতে রাষ্ট্রপতি বাঙালি জাতির ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি শোকাবহ দিন উল্লেখ করে বলেন, ‘২০০৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় শহীদ হন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী।তিনি সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
[৪] দেশের স্বাধীনতা লাখো শহীদের আত্মত্যাগের ফসল উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ‘৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন’, ৫৮ এর সামরিক শাসনবিরোধ আন্দোলন, ‘৬৬ এর ৬ দফা’, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে শাসকের বুলেটের আঘাতে। স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ওপর প্রথম আঘাত আসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এদিন স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে অকালে জীবন দিতে হয়েছে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের।
[৫] রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। এরপরও ঘাতকচক্র থেমে থাকেনি। তারা পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ইতিহাসের বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালায়। আল্লাহর অশেষ রহমতে সেদিন শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান দলের ২৪ জন নেতাকর্মী। আহত হন অনেকে। এ হামলায় বেঁচে থাকা অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করে আজও দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।