জেরিন আহমেদ: [২] করোনার কারণে ১৭ মাস ধরে তালা ঝুলছে খুলনা মহানগরীর পার্কগুলোতে। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় পার্কের অভ্যন্তরের রাইডগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
[৩] এমনকি বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুসারে সারা দেশের সব বিনোদনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়। খবর বাংলা নিউজ
[৪] জানা যায়, খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত খুলনার ৭টি পার্ক। পার্কগুলো হলো- হাদিস পার্ক, জাতিসংঘ শিশু পার্ক, সোলার পার্ক, গোলকমনি পার্ক ,নিরালা পার্ক, লিনিয়ার পার্ক ও খালিশপুর ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশু পার্ক। ২০২০ সালের ১৯ মার্চ থেকে নগরীর পার্কেগুলোতে জনসমাগম নিষিদ্ধ করে নগর সংস্থা । সেই থেকে পার্কগুলো বন্ধ রয়েছে। ঘরবন্দি শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা। এছাড়া এসব পার্কে প্রতিদিন প্রাতঃভ্রমণ ও শরীরচর্চা করতেন যারা তারাও রয়েছেন মহাবিপাকে।
[৫] এদিকে পার্কগুলো বন্ধ থাকায় খুলনার মানুষ বিনোদনের জন্য খোলা জায়গাকে বেছে নিয়েছেন। বিশেষ করে ৭ নং ঘাট ও রূপসা সেতুতে যেত এখন তাদের ভরসা। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভিড় করছেন বিভিন্ন রাস্তার পাশেও ।
[৬] তবে সকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বটিয়াঘাটার রানা রিসোর্ট অ্যান্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্ক (ওয়ান্ডারফুল কিংডম) ও গিলাতলা চিড়িয়াখানা ও শিশু পার্ক খুলেছে।
[৭] খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পার্কের দায়িত্বে থাকা অ্যাস্টেট অফিসার মো. নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মেয়র আজ অফিসে আসবেন। তারপর পার্ক খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সরকারি প্রজ্ঞাপনে যেহেতু পার্ক শব্দটা উল্লেখ নাই। এখানে রয়েছে পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র। তারপরও পার্ক বিনোদন কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে, তাই আজকে সব হাই অফিসারের সঙ্গে পার্ক খোলা নিয়ে কথা বলবো।
আপনার মতামত লিখুন :