হারুন-অর-রশীদ: [২] ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বুড়াইচ ইউনিয়নের চরখোলাবাড়িয়া গ্রামটি এখন মধুমতির করাল গ্রাসে প্রায় ছিন্ন ভিন্ন হতে চলেছে।
[৩] আজ সোমবার (১৬ আগস্ট) মধুমতি ভয়াবহ রুপ ধারন করে একই দিনে কয়েক ঘন্টার মধ্যে ওই গ্রামের ১০টি পরিবারের ঘরবাড়ি গ্রাস করেছে।
[৪] অসহায় ভাঙ্গন কবলীত পরিবারের মধ্যে রয়েছে চর খোলাবাড়িয়ার আব্দুর রহমানের ছেলে আজাদ মিয়া (৪৩), শুকুর মোল্লার ছেলে তৈয়ব মোল্লা (২৪), মৃত্যু ইব্রাহিম মোল্লার ছেলে আব্দুল হালিম মোল্লা (৬২), গোলাম মোস্তফা মোল্লার ছেলে নুরু মোল্লা (৪৮) ও আব্দুল ওদুদ মোল্লা (৭০), আবু সাইদের ছেলে কামরুজ্জামান (৪৮), আব্দুর জাব্বার এর ছেলে আতিয়ার রহমান (৫২), বীর মুক্তযোদ্ধা আবুল কাসেম (৬৭), আব্দুল হালিম মোল্লার ছেলে আবুবক্কার মোল্লা (৬২) ও আব্দুস সালাম মোল্লার ছেলে আব্দুল করিম মোল্লা (৩৯)। এদের অনেকে অন্যর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। আবার অনেকে খোলা আকাশের নিছে পলিথিনের কুঁড়ে ঘরে বসবারস করছেন।
[৫] এ ছাড়া খোলাবাড়িয়া গ্রামের লাল মোহম্মদ এর ছেলে রফিকুল মুছল্লি (৪১), আদেল উদ্দিনের ছেলে রিজাউল করিম (৩৬), আলম মোল্লা (৪০) জয়েন উদ্দিন মোল্লার ছেলে আসাদ মোল্লা (৪৬), আজাহার মোল্লার ছেলে ফরিদ হোসেন ফুয়াদ (৫৬) এর বাড়ি নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে ভেঙ্গে যাওয়ায় এরা টিকরপাড়ার চরে আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়াও উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশতলা বাজার এলাকা ও টগরবন্দের বাজড়া গ্রামটিও ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে।
[৬] এদিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের দিগনগর স্থায়ী নদীরক্ষা বাঁধের শেষ মাথায় খেয়া ঘাটের স্থায়ী ঘাটলাটি সম্প্রতি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর পূর্বে কয়েক'শ মিটার দূরে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের স্বপ্ননগর আবাসন প্রকল্প। এখানে রয়েছে আড়াইশ পরিবার। এ ভাবে ভাঙ্গন চলতে থাকলে স্বপ্ননগরে আশ্রয় নেওয়া পরিবার গুলিকেও আবার আশ্রয়হীণ হয়ে ভেঙ্গে যাবে স্বপ্ননগরের স্বপ্ন।
[৭] এ বিষয়ে বুড়াইচ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊধ্বর্তনদের জানিয়েছি।
[৮] এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদ এলাহী বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে। এছাড়া, ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলটিতে স্থানীয় সংসদ ও ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মহদয় পরিদর্শন করেছেন। সমাধানে এখানে বড় একটি স্থায়ী প্রকল্পের চিন্তাভাবনা চলছে।
[৯] পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সন্তোষ কর্মকার বলেন, এখন বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। স্বপ্ননগর আবাসন রক্ষার স্থায়ী বাঁধের আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্ধ পেলে আগামী শুকনো মৌসুমে স্থায়ী বাাঁধের কাজ করা হবে।