মাসুদ আলম: [২] সোমবার (১৬ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, সম্প্রতি মা ও মেয়েকে ভারতে পাচারের জড়িত মূল হোতা মো. কালু ওরফে কাল্লুসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪। চক্রের অপর দুই সদস্য হলেন কাল্লুর ভাগিনা সোহাগ ওরফে নাগিন সোহাগ ও বিল্লাল হোসেন। রোববার গভীর রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর পল্লবী এবং মাদারীপুরের শিবচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
[৩] তিনি বলেন, চক্রটি পার্শ্ববর্তী দেশে বিভিন্ন মার্কেট, সুপারশপ, বিউটি পার্লারসহ বিভিন্ন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করতো। তাদের মূল টার্গেট ছিলো দরিদ্র ও নিম্নমধ্যবিত্ত তরুণী। নারীসহ এ চক্রে ২০-২৫ জন সদস্য রয়েছে। বিল্লাল সীমান্তবর্তী এলাকার সম্বনয়ক। যৌন বৃত্তিতে নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যেই ভিকটিমদের পাচার করা হতো। চক্রটি মিরপুর, তেজগাঁও, গাজীপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে নারী সংগ্রহ করতো। কাল্লু ভুক্তভোগীদের ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দিতো।
[৪] মঈন বলেন, গত জানুয়ারি মাসে পল্লবী থেকে ১৭ বছর বয়সী এক তরুণীকে উচ্চ বেতনে বিউটি পার্লারে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করা হয়। ভুক্তভোগী তরুণী সাতক্ষীরা সীমান্তে পাচারকালীন সময়ে তার মাকে পাচারের বিষয়টি জানায়। মা পাচার চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে। চক্রটি একই প্রক্রিয়ায় মাকেও পাচার করে। পরিচয় গোপন করতে ভিকটিম মা ‘মুন্নি’ নাম ধারণ করে। চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে মা কৌশলে পালিয়ে গিয়ে উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়ায় একটি নিষিদ্ধ পল্লীতে তার মেয়ের সন্ধান পান।
[৫] তিনি আরও বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় মা তার মেয়েকে উদ্ধার করে। মেয়েকে নিয়ে দেশে ফেরার সময় সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের কাছে তারা আটক হয়। বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করে। ভুক্তভোগীদেরকে নৌ-পথে ও স্থলপথে সীমান্ত পারাপার করানো হতো। তারা কয়েকটি ধাপে পাচরের কাজটি সম্পাদন করতো। সাতক্ষীরা সীমান্তবর্তী এলাকার বিল্লালের সেইফ হাউজে ভুক্তভোগীদের রাখতো। মধ্যরাতে লাইনম্যানের মাধ্যমে পাচার করতো। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।
আপনার মতামত লিখুন :