আসাদুজ্জামান বাবুল: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার জমিদার পরিবারে জন্ম, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা রেণু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালী জাতির মহানায়ক,স্বাধীন বাংলাদেশের স্হপতি ও দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী হয়েও মৃত্যুর আগ পযন্ত সাদামাঠা ভাবে জীবনযাপন করে গেছেন।
টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিবুর রহমান(খোকা)নাম থেকে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামে ভুষিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সকল সফলতার পেছনে অসাম্যান্য অবদান রয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিবের।
নিজেকে শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিবের বংশীয় ভাই হিসেবে দাবী করে শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছার সৃত্বীচারন করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত টুঙ্গিপাড়া গ্রামের শেখ পরিবারের সদস্য শেখ বোরহান উদ্দিন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের পর আমাদের এ প্রতিনিধিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকালে জানিয়েছেন, ১৯৩০ সালের ৮ই আগষ্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামের এক সম্ভান্ত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহন করেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব।
শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিবের বাবার নাম শেখ জহুরুল ইসলাম ও মাতার নাম হোসনেয়ারা বেগম। তাদের দুই মেয়ের মধ্যে একজন হলেন, শেখ জিন্নাতুন্নেচ্ছা ও অপরজন হলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব। শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছার বয়স যখন ৪/৫ বছর তখন বাবা শেখ জহুরুল ইসলাম ও মাতা হোসনেয়ারা বেগম মারা যান। শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছার আপন কোন ভাই নেই।
জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা রেনুর একমাত্র বড় বোন শেখ জিন্নাতুন্নেচ্ছার স্বামী, হচ্ছেন শেখ মোহাম্মাদ মুছা। বাড়ী টুঙ্গিপাড়ায়। শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিবের বড় বোন শেখ জিন্নাতুন্নেচ্ছার ২ ছেলে ৩ মেয়ে। কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ বছর আগে শেখ জিন্নাতুন্নেচ্ছা মারা গেছেন।
শেখ জিন্নাতুন্নেচ্ছার সন্তানরা হলেন, শেখ শহিদুল ইসলাম(জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী), শেখ সাঈদ (ব্যবসায়ী)এবং ৩ মেয়ের মধ্যে শেখ মিরু বাদে বাকি ২ মেয়ে শেখ জেলি ও শেখ জলি বেঁচে আছেন। এরমধ্যে শেখ জেলি স্বামীর সঙ্গেঁ ঢাকায় থাকেন এবং শেখ জলি স্বামীর সঙ্গেঁ খুলনায় থাকেন।
শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিবের গুনের কথা সারাদিন ও সারারাত বলেও শেষ হবেনা এমন কথা উল্লেখ করে বংশীয় ভাই শেখ বোরহান উদ্দিন আরো বলেন, টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিবুর রহমান(খোকা)নাম থেকে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামে ভুষিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সকল সফলতার পেছনে অসাম্যান্য অবদান রয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিবের।
শেষ পর্যন্ত জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গেঁ ঘাতকের বুলেটের আঘাতে জীবনও দিয়ে গেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব। জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগষ্ট নিহত ১৭জন সদস্যর বিদেহী আত্বার মাগফিরত কামনা করেন শেখ বোরহান উদ্দিনসহ এলাকার মানুষ।