সুমাইয়া ঐশী: [২] মোট ৫২টি দেশের হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীদের ওপর চলবে এই বৈশ্বিক ট্রায়াল। মূলত, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাদের মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে গবেষকদের একটি নিরপেক্ষ প্যানেল এই ওষুধগুলো বেছে নিয়েছে। আল জাজিরা
[৩] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, ম্যালেরিয়ার ওষুধ আর্টেসুনেট, নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সারে ব্যবহার করা ইমাটিনিব এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের উৎপাদিত ক্রোন বা আথ্রাইটিসের মতো রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত ওষুধ ইনফ্লিক্সিম্যাব ব্যবহার করা হবে এই ট্রায়ালে। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার মহাপরিচালক টেডরোস আধানোম গেব্রিয়াসুস বলেন একটি বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
[৪] বিশ্ব স্থাস্থ্য সংস্থার এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সলিডারিটি ট্রায়াল’। এই প্রকল্পের কাজ হলো, করোনার জন্য কার্যকরী ওষুধ আবিষ্কার। গত বছরই এর প্রাথমিক ট্রায়াল শুরু করেছে হু। ঐ সময় চারটি ওষুধের প্রয়োগ করা হয়েছিলো। এর মধ্যে ছিলো রেমডেসিভির, হাইড্রোঅক্সিক্লোরোকুইন, লপিনাভির এবং ইন্টারফেরন। রয়টার্স
[৫] ঐ সময় কানাডা, ফিনল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং ফিলিপাইনসহ ৫২টি দেশের ৬০০টি হাসপাতালের রোগীর ওপর ট্রায়াল করা হয়, তবে তেমন সফলতা মেলেনি। ঐ ট্রায়ালের চূড়ান্ত রিপোর্ট খুব শিগগিরই হাতে পাবে ডব্লিউএইচও। তবে করোনার আরো কার্যকারি ওষুধ খুঁজতে নতুন করে এই তিনটি রোগের ওষুধকে বেছে নেওয়া হয়েছে।