সনতচক্রবর্ত্তী: [২] ফরিদপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত তোরণে দুর্বৃত্তরা হানা দিয়েছে। রাতের আঁধারে বেশ কয়েকটি তোরণ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
[৩] সোমবার (৯ আগস্ট) ও মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) গভীর রাতের যে কোনো সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা শহরের বিভিন্ন স্থানে বসানো জাতীয় শোক দিবসের ৩-৪টা তোরণের ক্ষতি করে। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
[৪] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের জনতা ব্যাংকের মোড় মুজিব সড়কে শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নির্মাণ করা তোরণ নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা। তারা বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ ব্যানার কেটে ফেলেছে। তোরণের নানা অংশ ক্ষতি করেছে। শহরের আলীপুর প্রয়াত হাসিবুল হাসান লাবলু সড়কের সামনে নির্মাণকৃত তোরণে এক অংশের ব্যানার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ঝর্না হাসান কর্তৃক নির্মিত একটি তোরণ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে।
[৫] এ বিষয়ে ফরিদপুর শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এটিএম জামিল তুহিন বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। এখনো সেই সব জঘন্য মানসিকতার ব্যক্তিরা কীভাবে এমন নোংরা কাজ করে শহরে ঘুরে বেড়ায়, অবাক লাগে। আমরা বিষয়টি স্থানীয় কোতোয়ালি থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি।’
[৬] ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ঝর্না হাসান বলেন, ‘ফরিদপুরের ইতিহাসে এই ধরনের ঘটনা কখনো ঘটেনি। এমন জঘন্য কাজ যারাই করুক তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এই তোরণের ক্ষতি যারা করেছে তারা আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করেছে। তবে তাদের আমি ভয় পাই না। আমার স্বামী ও তার পরিবার ফরিদপুরের মানুষের জন্য মুজিব আদর্শে কাজ করে গেছে। আমি ও আমার সন্তান আমৃত্যু কাজ করে যাবো।’
[৭] তিনি আরও বলেন, ‘তোরণের ব্যানার যারা ছিঁড়তে পারে তারা আর যাই হোক আওয়ামী লীগের কেউ হতে পারে না। তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া সময়ের দাবি, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের জঘন্য, নোংরা কাজ আর কেউ করার সাহস না পায়। শুধু নিন্দা জানিয়ে মানুসিকভাবে শান্তি পাওয়া যাবে না। সম্পাদনা: হ্যাপি