শরিফুল হাসান: পরীমনিকে নিয়ে আমি কখনোই সরাসরি কিছু লিখিনি, শুধু অবজারভ করেছি। এই কয়দিনে স্মৃতি থেকে পরীমনির জীবনের গল্প, বোটক্লাব, তাঁর প্রতিবাদ, জেলে যাওয়া সব দেখে মনে হয়েছে, অনেক ভুল বা মিথ্যা হয়তো আছে, কিন্তু দিনশেষে পরীমনিই সত্যিকারের নায়িকা। শুধু সিনেমা না, বাস্তবের নায়িকা যে কিনা ভয়াবহ প্রতিহিংসা আর ঘৃণার শিকার!
এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগকেই এখন পর্যন্ত ভিলেন মনে হয়েছে। তবে এই ভিলেনরা বুঝতে পারছেন না তারা ভিলেন। ক্ষমতার দাপটে তারা নিজদের হিরোই ভাবছে! বিশেষ করে শিল্পি সমিতি বা শিল্পি সমাজের ভূমিকায় মনে হয়েছে এরা মেরুদণ্ডহীন তেলাপোকা।
এই ঘটনায় ফেসবুকজুড়ে কমেন্ট আর নারীর প্রতি আমাদের যে মনোভাব ফুটে উঠেছে সেটাকে অসুস্থতাই মনে হয়েছে। আর সাংবাদিকতার নামে মোটাদাগে যা হয়েছে সেটা ভীষণ লজ্জার। মুনিয়া হত্যার আসামিদের বিরুদ্ধে আমরা যেমন না লিখে তার চরিত্রহনন করেছি এবারও ঠিক তাই হয়েছে। টাকা বা ক্ষমতার কাছেই আমরা মাথানত করেছি। তবে দিনশেষে আবদুল গাফফার চৌধুরীর যে অবস্থান তাতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জেগেছে। তাকে সত্যিকােরর সাংবাদিক আর কলামিস্ট মনে হয়েছে।
আসলে মাঝে মধ্যে এ ধরনের ঘটনায় একটা রাষ্ট্র-সমাজের পুরো চরিত্রটাই ফুটে উঠে। বোঝা যায় আমরা কোথায় আছি! এ বিষয়ে আপনার কোনো অবজারভেশন থাকলে যুক্ত করতে পারেন। নিজেদের বোঝার জন্য হলেও একাডমিক এই আলোচনা জরুরি। শুধু পরীমনি নয়, নিজেদের শোধরানোর জন্য হলেও জরুরি। ফেসবুক থেকে