লিহান লিমা: [২] ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস জানান, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সৈন্য সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তের পরও আফগান সেনাবাহিনীকে সমর্থন দিতে দেশটিতে সৈন্য উপস্থিতি বজায় রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলো ব্রিটেন। কিন্তু বাঁধ সাধে ন্যাটো মিত্ররা। অন্য ন্যাটো দেশগুলো রাজি না থাকায় বেন ওয়ালেস সিদ্ধান্ত নেন যে ব্রিটেন একা এই লড়াই করবে না। ডেইলি মেইল
[৩] মার্কিন ও ন্যাটো সৈন্যরা ফিরে আসার পর অবশম্ভাবী হিসেবেই তালেবান সহিংস হয়ে ওঠে। আফগানিস্তানের অর্ধেক অঞ্চল-পাঁচটি প্রদেশ দখল করে তারা এখন প্রায় কাবুলের কাছাকাছি চলে এসেছে। স্কুলগুলো পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, নারী ও কিশোরীদের শিক্ষা এবং কাজে নিষেধাজ্ঞারোপ করা হয়েছে। কিশোরীদের কিডন্যাপ করে জোরপূর্বক তালেবান সেনাদের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হচ্ছে।
[৪] বেন ওয়ালশ কবলেন, আমি জানতাম তালেবান পুনরায় আফগানিস্তান দখলে নেবে। তাই আফগান সৈন্যদের সহায়তা করতে ন্যাটো দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাদের কেউই আগ্রহী ছিলো না। শেষটা আমাদের ব্যথিত করেছে।২০ বছরের এতো রক্ত ও অভিযানের পর এখন এই পরিণতি দেখতে হচ্ছে।’
[৫] ব্রিটিশ জেনারেল স্যার রিচার্ড ব্যারন আফগানিস্তান থেকে ব্রিটিশ সৈন্য প্রত্যাহারের সমালোচনা করে বলেন, ‘ব্রিটেনের এই কৌশলগত ভুল সন্ত্রাসবাদ উস্কে দেবে। এটি আফগানিস্তানের ভবিষ্যতে অন্ধকার জগতে বিক্রি করে দেবে।’
[৬] আফগানিস্তানের স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন ২০২১ সালের প্রথম ৬ মাসের প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানায়, এই সময়ে দেশটিতে ১ হাজার ৬৭৭জন বেসামরিক প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৩ হাজার ৬৪৪ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের এই সংখ্যা ২০২০ সালের একই সময়ের তুলনায় ৮০ শতাংশ বেশি। শুধুমাত্র গত সপ্তাহেই ১২টি প্রদেশে চালানো ২৯টি হামলায় ১০১জন বেসামরিক নিহত এবং ৫১৬ জন আহত হয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :