রহিদুল খান: [২ ] দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভেজাল সার তৈরিকারক লাল্টুর ঘুরুলিয়া সাদ্দাম মোড়ের কারখানা থেকে বিপুল পরিমান ভেজাল টিএসপি, দস্তা ও ফুরাডান উদ্ধার করেছে কৃষি বিভাগ। এ ঘটনায় লাল্টুর ছেলে আটক সোহানুর রহমান সোহানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
[৩] ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এনএম মুনিম লিংকন এ দণ্ডাদেশ দেন। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শেখ নুরুল্লাহসহ অন্যান্যরা অভিযানে অংশ নেন।
[৪] কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা গোপন সংবাদে জানতে পারেন লাল্টুর ঘুরুলিয়া সাদ্দাম মোড়ের কারখানায় বিপুল পরিমাণ ভেজাল টিএসপি, দস্তা ও ফুরাডান তৈরি করা হয়েছে। যেকোনো সময় বাজারজাত করা হবে। সেই সংবাদের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কৃষি বিভাগ সেখানে অভিযান চালায়। জব্দ করা হয় আনুমানিক দুই টন ভেজাল টিএসপি, দুই টন দস্তা, ফুরাডান, এসব তৈরির কাঁচামাল এক হাজার বস্তা ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ও চারশ’ লিটার সালফিউরিক এসিড। ওইসময় ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় লাল্টুর ছেলে সোহানুর রহমান সোহানকে।
[৫] কৃষি বিভাগ তাকে আটক করে। অভিযান শেষে আটক সোহানকে হাজির করা হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতে। আদালত উদ্ধারকৃত অবৈধ মালামালের পরিমাণ যাচাই করে আটক সোহানকে ছয় মাসের কারাদন্ড দেয়। একইসাথে জরিমানা করা হয় তাকে। আদালত সোহানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
[৬] সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সাজ্জাদ হোসেন জানান, লাল্টু দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল সারের ব্যবসা করে আসছিলেন। তিনি নিজে এসব তৈরি করেন। টাইলসের গাদ আর চুন দিয়ে তৈরি করেন টিএসপি। বালু আর রঙ দিয়ে তৈরি করেন কীটনাশক ফুরাডান! তৈরি করেন ভেজাল দস্তাও। যশোরে যতজন ভেজাল সার কারবারি আছেন লাল্টু তাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান বলে জানিয়েছেন কৃষি অফিসার।
[৭] তিনি বলেন, কোনোভাবেই ভেজাল সার কারবারিদের ছাড় দেয়া হবে না। এদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভেজাল সার কারবারিদের কারণে ভূমি ধ্বংস হচ্ছে বলে জানান সাজ্জাদ হোসেন। তিনি ভেজাল সার কারবারিদের বিরুদ্ধে অব্যাহত অভিযানে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সম্পাদনা: হ্যাপি