শাহীন খন্দকার: [২] জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের আরও বলেছেন, ‘সারাবিশ্ব যখন টিকা দিয়ে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করছে, তখন টিকা দিতে ব্যর্থতার দায় এড়াতে উল্টাপাল্টা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার।’ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জি এম কাদের এ কথা বলেন।
[৩] জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘টিকা না নেওয়া ১৮ বছরের বেশি বয়সীরা বের হলেই নেওয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, গতকাল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর এমন ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ মন্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করে বিবৃতি দিয়েছে।’
[৪] বিরোধী দলীয় এই উপনেতা আরও বলেন, ‘অপরিকল্পিত ও অদূরদর্শী এবং সমন্বয়হীনতার কারণে বারবার এমন ঘটনা ঘটছে। মন্ত্রীদের বক্তব্যে বিভ্রান্ত দেশবাসী। একই সঙ্গে সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে সাধারণ মানুষ।’
[৫] বিবৃতিতে তিনি বলেন, এখন টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে সর্বনি¤œ বয়স সীমা ২৫ বছর নির্ধারিত। সেক্ষেত্রে কীভাবে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী গার্মেন্টস শ্রমিক কারখানায় যাবে? এই বয়সের গণপরিবহনের শ্রমিক কীভাবে কাজে বের হবে? অথবা এই বয়সী দোকানী কীভাবে দোকান খুলবে?
[৬]জি এম কাদের বলেন, ‘বর্তমান বাস্তবতায় দেশে দুই ডোজ টিকা নেওয়া মানুষের সংখ্যা এক কোটির নিচে। কোভিড টাস্কফোর্সের রিপোর্ট অনুযায়ী টিকা কর্মসূচিতে বিশ্বের পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে টিকা কর্মসূচিতে সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ।’
আপনার মতামত লিখুন :