শিমুল মাহমুদ: [২] মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের টিকা বিতরণ কমিটির মাধ্যমে সংগ্রহ করা ভেন্টিলেটরগুলো আগামী সপ্তাহে দেশে এসে পৌঁছাবে।
[৩] বুধবার প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, আমেরিকা প্রবাসী কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর ডা. মাসুদুল হাসান এ ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। তার সঙ্গে নেফ্রলজিস্ট প্রফেসর ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ সাদেক, প্রফেসর ডা. ফাতিমা আহমেদ, কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর ডা. চৌধুরী হাফিজ আহসান, সাবেক সিনিয়র ইউএন অফিসিয়াল মাহমুদ উস শামস চৌধুরী এবং কানাডা প্রবাসী ডা. আরিফুর রহমান যুক্ত আছেন।
[৪] প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এই কাজে বাংলাদেশ থেকে সমন্বয় করা ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ভেন্টিলেটরগুলো সহজে বহনযোগ্য তৃণমূল পর্যায়ে পাঠানো যাবে। যেখানে সুবিধা নেই সেখানকার রুগিদের প্রয়োজনে সহায়ক হবে। করোনা চলে গেলেও অন্যান্য মুমূর্ষু রোগীর জন্যও আমরা এগুলো ব্যবহার করতে পারব।
[৫] প্রফেসর ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ সাদেক জানান, এরই মধ্যে তাদের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই বাংলাদেশে এসেছে ৩৭৭টি ভেন্টিলেটর। ১২৭টি দিয়েছে আমেরিকান ‘অস্টিন টেক্সাস’ কোম্পানি এবং বাকি ২৫০টি দিয়েছে আমেরিকায় বাংলাদেশি চিকিৎসকদের সংগঠন ‘অপশিনি বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড’। যার এক একটির দাম সাড়ে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা।
[৬] আমেরিকায় বাংলাদেশি প্রফেশনালসদের উদ্যোগে কোভ্যাক্সের আওতায় প্রথমে মডার্নার ২৫ লাখ ও পরে আরও ৩০ লাখ এবং ফাইজারের এক লাখ ছয় হাজার ডোজ টিকা আসে।
[৭] অল্প সময়ের মধ্যেই আরও ৫৫ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে পাঠানোর বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন প্রফেসর ডা. মাসুদুল হাসান। সম্পাদনা: তরিকুল ইসলাম