রাজু চৌধুরী: [২] সাংকেতিক শব্দ ব্যবহার করে অভিনব কায়দায় ইয়াবা বিক্রির সময় চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার হাজীপাড়া এম পি এসহাক রোডের আবু সওদাগরের কলোনীর গেইটের থেকে ইয়াবাসহ দুই ইয়াবা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[৩] সোমবার (২ আগস্ট) ডবল মুরিং থানা পুলিশ জানায় রবিবার গভীর রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ আরো জানায়, তারা অত্যন্ত সুকৌশলে সাংকেতিক শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে ইয়াবা বিক্রি করত। শুধুমাত্র তাদের বলে দেওয়া কোড ওয়ার্ড বললেই মিলত ইয়়াবা। এই অভিনব কায়দায় ইয়াবা বিক্রেতা দুইজন হলেন, লাকী আক্তার (৩৫) ও নিলুফা বেগম (৪২)। লাকী আক্তারের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ৬ টি এবং নিলুফারের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।
[৪] ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, মানুষ এটিএম বুথের কথা জানলেও বুথ আদলের মাদক বিক্রির স্পট সম্পর্কে খুব একটা ধারনা নেই। এখানে কার্ড নয় কোড ওয়ার্ড ব্যবহার করে লাকী ও নিলুফার অত্যন্ত সুকৌশলে ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল।
[৫] তারা ডবলমুরিং মডেল থানার হাজীপাড়া এমপি এসহাক রোডস্থ আবু সওদাগরের কলোনীর গেইটের সামনে ইয়াবা বিক্রি করে। সেই গেইটে ছোট একটি ফটক রয়েছে। দরজায় দুইবার নক করলে ভেতর থেকে কে আওয়াজ আসে। তখন তাদের বলে দেওয়া কোড ওয়ার্ড (বিশেষ সাংকেতিক শব্দ বা বাক্য) বলে সেই ফটকে টাকা দিলেই সেই ফটক থেকে ইয়াবা বিনিময় করা হয়। কোড ওয়ার্ড একেক সময় একেক রকম হত। যেমন, আগেরদিন ছিল 'বিস্কুট'। নির্দিষ্ট সংখ্যক বিস্কুট বলার পর সেই সংখ্যক ইয়াবাই সাপ্লাই করা হয়, এর আগে 'গরুর গোশত' 'হাড্ডি' ' বিচি' ইত্যাদি কোড ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
[৬] রবিবার নিলুফা এই পদ্ধতিতে ইয়াবা আদান প্রদানের সময় তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে লাকীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৫২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :