শিরোনাম
◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ৩০ জুলাই, ২০২১, ০৩:০৮ দুপুর
আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০২১, ০৩:০৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দীপক চৌধুরী: জীবনে বহুবার নিদারুণ ট্র্যাজেডির মুখোমুখি হয়েছিলেন ড. সৈয়দ সামাদ

দীপক চৌধুরী: বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. সৈয়দ আব্দুস সামাদকে আমরা হারিয়েছে। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ প্রশাসক ও শিক্ষাবিদ। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ছিলেন স্পস্টবাদী লেখক। আমরা দেখি, অনেক লেখক ঘটনার রং-ঢং মিশিয়ে লিখতে গিয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে ফেলেন। হয়তো তাঁদের অনিচ্ছাসত্বেই এমন ঘটনা ঘটে থাকে। তিনি ছিলেন অন্যধারার। ’৭১-এর ফেব্রুয়ারি মাসে পার্বত্য চট্টগ্রামের পুনর্বাসন অফিসার / অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের পরই এ দেশের মানুষের বিশ্বাস হয়ে ওঠে এ বাংলার শাসনভার এখন থেকে তাঁর হাতে। এরপর তো ২৫ মার্চের গণহত্যা।

পরের গণসংগ্রামে আর সকলের সঙ্গে সৈয়দ সামাদও সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। তাঁর সহযোগিতা পাওয়া অধিকাংশই পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হলে সামাদ সেই সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রদান করে দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক প্রশাসক নিয়োজিত হয়েছিলেন। যুদ্ধকালীন সময় তিনি ১ নম্বর আঞ্চলিক পরিষদের সদস্যসচিব ছিলেন। তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি অসাধারণ সুন্দর গ্রন্থ লিখেন ও প্রকাশ করেন ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে। এর নাম, “যখন দুঃসময়, সুসময়/ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পাঁচালি।” এ গ্রন্থে প্রাসঙ্গিকভাবে এসেছিল সিভিল সার্ভিস একাডেমিতে যোগ দেওয়া, পড়াশোনা ও কর্মজীবনের ইতিহাস।

তিনি জীবনে বহুবার নিদারুণ ট্র্যাজেডির মুখোমুখি হয়েছিলেন। কিন্তু কখনো মিথ্যের আশ্রয় নেননি। উচ্চাভিলাষি পাকিস্তানী সামরিক অফিসারদের ষড়যন্ত্র ও ঘুটির চাল তিনি দেখেছেন। সবসময়ই সত্যের সঙ্গে বসবাসে বিশ্বাসী ড. সৈয়দ আব্দুস সামাদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব ছিলেন। তাঁর কফিনে প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্য সচিব এবং বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ছিলেন ড. সৈয়দ আবদুস সামাদ। তিনি বাংলাদেশ সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিবের দায়িত্ব ও পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. সৈয়দ আব্দুস সামাদের মরদেহের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী সকালে বারিধারা জামে মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারে রক্ষিত মরহুমের কফিনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পনের মাধ্যমে এই শ্রদ্ধা জানান। সৈয়দ আব্দুস সামাদ বৃহস্পতিবার তাঁর বারিধারাস্থ বাসভবনে ঘুমের মধ্যে মারা যান। মরহুমের বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। চিরকুমার ড. সামাদ একদিন আগেই রাজধানীর একটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফেরেন। তিনি মস্তিস্কের জটিলতা থেকে আরোগ্য লাভের পথে ছিলেন। ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় ছিল তাঁর বাড়ি।

লেখক : উপসম্পাদক, আমাদের অর্থনীতি, সিনিয়র সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়