মুশফিক ওয়াদুদ: তিউনিসিয়াজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট। সেই সঙ্গে পার্লামেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মিশরের পর তিউনিশিয়া থেকেও মুসলিম ব্রাদারহুড ক্ষমতা হারালো। অনেকটা একই প্রক্রিয়ায়। তিউনিশিয়ার এই অভ্যুত্থান যদি সফল হয় তাহলে বলা যায় যে আরব বসন্তের মাধ্যমে মুসলিম ব্রাদারহুড আরব এবং উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে ক্ষমতার রাজনীতিতে যে সুবিধা পেয়েছিলো তা শেষ হলো। তিউনিশিয়ার এ পরির্বনের পর দুটি বিষয় আমার কাছে গুরুত্বর্পূ মনে হয়েছে।
[১] তিউনিশিয়ার মুসলিম ব্রাদারহুডপন্থী দল এন্নাহাদার প্রধান রশিদ ঘানুচি নতুন একটি ইসলামিক রাজনৈতিক দলের ধারণা তৈরির চেষ্টা করছিলেন। তিনি বলছিলেন, এন্নাহাদা একটি মুসলিম ডেমোক্রেট, ঠিক ইসলামী রাজনৈতিক দল নয়। এই ধারণা সফল হলে পলিটিক্যাল ইসলাম থেকে মুসলিম ডেমোক্রেসি তে উত্তরণের একটি সম্ভাবনা ছিলো। এই মডেলটির মুসলিম দেশগুলোতে বিস্তার হয়তো হতো। সেটা বাধাগ্রস্ত হলো।
[২] তিউনিশিয়াতে ২০১১ সালের বিপ্লবের পর থেকে এন্নাহাদাকে নিয়ে জনগণ খুশি না। অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক। বেকারত্ব বাড়ছে। সাম্প্রতিক কোভিড পরিস্থিতির অবস্থা খারাপ। উত্তর আফ্রিকায় তিউনিশিয়ার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভালো ছিলো। সেটাও এখন নাজুক অবস্থায়। ফলে এই অভ্যুত্থান বেশ বড় অংশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে। অনেকে রাস্তায় নেমে সমর্থন জানিয়েছেন। মিশরেও মুসলিম ব্রাদারহুডের সরকারের একই অবস্থা হয়েছিলো। এই দুটি ঘটনা হয়তো এমন একটি ইংগিত দেয় যে মুসলিম ব্রাদারহুড কিংবা এ ধরণের ইসলামী আন্দোলন প্রতিবাদ/বিক্ষোভ কিংবা আরব বসন্তের মতো বিপ্লবের জন্য ভালো হলেও শাসক হিসেবে ভালো নয়। ঠিকমতো দেশ চালাতে পারে না। ফেসবুক থেকে