রাশিদুল ইসলাম : [২] ইরান বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রতিনিধি রবার্ট ম্যালি স্বীকার করেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ নীতি শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এমএসএনবিসি টেলিভিশন চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে রবার্ট ম্যালি আরো বলেন, এধরনের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি গ্রহণের পর তেহরান তার পরমাণু কর্মসূচি জোরদার করে।
[৩] রবার্ট ম্যালিকে বাইডেন প্রশাসন ২০১৫ সালের পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ২০১৫ সালে যখন ইরান ও ছয় জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে পরমাণু সমঝোতা সই হয় তখন তিনি মার্কিন আলোচক দলের সদস্য ছিলেন।
[৪] রবার্ট ম্যালি বলেন ইরান যদি পূর্ণ সহযোগিতা নিয়ে পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসে এবং এই সমঝোতার সমস্ত বাধ্যবাধকতা মেনে চলে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে।
[৫] রবার্ট ম্যালি জানান, আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা কমে গেছে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলির একটি রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে রবার্ট ম্যালি বলেন, ইরানের কমান্ডারকে হত্যা করার জন্য সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সতর্ক করা হয়েছিল।
[৬] রবার্ট ম্যালি আরো বলেন, ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি অনেক বাড়িয়েছে, পরমাণু কর্মসূচি জোরদার করেছে এবং আঞ্চলিক কর্মকাণ্ডে নিজের অংশগ্রহণ বাড়িয়েছে।