আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] জাহাজগুলো তৈরি হবে চট্টগ্রামের ড্রাই ডক লিমিটেডে।
[৩] প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে আড়াই বিলিয়ন ডলার। ডেইলি সাবাহ বলছে, দুই পক্ষই এই প্রকল্পে ঐকমত্য হওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। চট্টগ্রামের ড্রাই ডক লিমিটেডে মাল্টিরোল এই ফ্রিগেটগুলো নিজেরাই তৈরি করে নিতে চায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এই প্রকল্পে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বেশ কিছু দেশ আগ্রহ প্রকাশ করে। আর তুরস্ক, চীন, নেদারল্যান্ড ও ইতালির দেওয়া প্রস্তাব চূড়ান্ত পর্যায়ে বিবেচিত হয়েছে।
[৪] বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা সাইটগুলো বলে আসছিলো তুর্কি কোম্পানি এসটিএম ডিফেন্স টেকনলজিস অ্যান্ড ট্রেডের তৈরি ইস্তাম্বুল ক্লাস ফ্রিগেটগুলো এই প্রকল্পের জন্য এগিয়ে আছে। কারণ এই জাহাজগুলোর দাম কম এবং এতে চাইলেই আসেলসান ও রকেটসানের মতো ডিফেন্স কন্ট্রাাকটরের তৈরি অস্ত্র ও সেন্সর যুক্ত করা সম্ভব। বাংলাদেশ এই জাহাজগুলোতে শুরু থেকেই ন্যাটো স্ট্যান্ডার্ড অস্ত্র ব্যবহারে আগ্রহী।
[৫] বাকি দেশগুলো যে প্রস্তাব দিয়েছিলো সেগুলো হয় ব্যয়বহুল ছিলো, অথবা বাংলাদেশের চাহিদা পূরণে সক্ষম ছিলো না। চীনের প্রস্তাব ছিলো টাইপ ০৫৪ ফ্রিগেটের। যার প্রতিটির মূল্য দাঁড়াতো ৩৭৪ মিলিয়ন ডলার। এবং সিডিডিএল এর শেয়ারের সিংহভাগই চীনা কোম্পানি সিএসওসি’র কাছে হস্তান্তর করতে হতো।
[৬] নেদারল্যান্ডের প্রস্তাবিত জাহাজ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ক্লাস করভেটের সমতুল্য। বাংলাদেশ কোনো হালকা ফ্রিগেট নিতে আগ্রহী নয়। আর ইতালি ফিনকানতিয়েনি ক্লাস ফ্রিগেড ডিজাইন অফার করে। এই নকশাটি বাংলাদেশের বাজেটের চেয়ে অনেক বেশি ছিলো। এ কারণেই তুর্কির ফ্রিগেড ক্লাসটি এগিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছে তুরস্কের সরকারি মিডিয়া ডেইলি সাবাহ। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :