দ্য ডেইলি স্টার: পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) (চ.দা.) এস এম আশিকুজ্জামান মন্তব্য করেছেন, পদ্মা সেতুর পিলারে আবার ফেরির ধাক্কা লাগবে না, এ নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না।
আজ শনিবার বিকেলে মুঠোফোনে তিনি বলেন, 'পদ্মা সেতুর পিলারে আবার ফেরির ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটবে না এ নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। আবার যে কোনো সময় এমন ঘটনা ঘটতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিকভাবে স্রোত বৃদ্ধি পেয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'পানির স্রোত ও ফেরির গতি সামঞ্জস্য করে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ইঞ্জিন ও স্রোতের গতিতে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে আবার দুর্ঘটনা ঘটবে।'
তিনি বলেন, 'নদীতে পানির স্রোত ও ইঞ্জিনের নিয়ন্ত্রণ সামঞ্জস্য না থাকলেই বিপদ। তাই ফেরি চালানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক হয়ে চালাতে বলি। গত ১০ মাস ধরে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চলছে। গত এক মাস ধরে পিলারে কয়েকটি ফেরির ধাক্কার কথা শুনেছি। ধাক্কা লাগার মূল কারণ প্রবল পানির স্রোত। এজন্য ফেরির সবাই সতর্কতা মেনে চলে।'
মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) আনিসুর রহমান বলেন, 'ফেরিটি ১৯৮২ সালের। দীর্ঘদিনের পুরনো হওয়ায় ফেরিতে টেকনিক্যাল সমস্যা তৈরি হয়। ফেরির বৈদ্যুতিক সার্কিটে সমস্যা হলে স্টিয়ারিং বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে ফেরিটি সেতুর পিলারে সঙ্গে ধাক্কা লাগে।'
'আমরা আরও যাচাই-বাছাই করছি। কী কারণে ইঞ্জিন কাজ করল না, সরাসরি পিলারে ধাক্কা এ সমস্ত টেকনিক্যাল বিষয় আমরা ভাল করে যাচাই-বাছাই করব। সঠিক কারণ আমরা উৎঘাটন করব,' যোগ করেন তিনি।
এর আগে, শুক্রবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে রোরো ফেরি শাহজালালের ধাক্কা লাগে। এ ঘটনায় ফেরিটির ফিটনেস ছিল কিনা, চালকের যথাযথ যোগ্যতা, শারীরিক সুস্থতা বা অবহেলা ছিল কিনা এসব বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়ে শিবচর থানায় শুক্রবার রাতে সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
আপনার মতামত লিখুন :