সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী রাজনৈতিক দলে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব থাকার কথা রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে আগামী কাউন্সিলের আগেই আওয়ামী লীগ নিশ্চিত করবে ২৫ ভাগ। এজন্য দলের ৮১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটির চারটি শুণ্য পদে নারীদের প্রাধান্য দেয়া হবে। দলের নেতারা বলছেন, সাংগঠনিকভাবে দক্ষ ও যোগ্য নারীদের খুঁজতে শুরু করেছে কেন্দ্র।
[৩] দেশে নারী-পুরুষের অনুপাত প্রায় সমান। কিন্তু আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে অনেকক্ষেত্রেই পিছিয়ে নারী। রাজনৈতিক দলও এর ব্যতিক্রম নয়। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে দলে ৩৩ ভাগ নারী সদস্য নিশ্চিত করার কথা। কিন্ত ৪১টি রাজনৈতিক দলের কেউই তা পারেনি।
[৪] আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটিতে পদ রয়েছে ৮১টি। ২০১৯ সালের সবশেষ কাউন্সিলে কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন ১৮ নারী অর্থাৎ ২২ ভাগ। কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতে কিছু বাধা রয়ে গেছে।
[৫] দলের সভাপতিমণ্ডলীতে ফাঁকা রয়েছে তিনটি পদ। এছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির একটি সদস্যপদও শূন্য। আগামী কাউন্সিলের আগে এসব পদে নারীকে প্রাধান্য দিতে চায় আওয়ামী লীগ।
[৬] নেতারা বলছেন, কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঘাটতি থাকলেও নারীদের আলাদা দুটি সহযোগি সংগঠন মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগ রয়েছে। অন্যান্য সহযোগী সংগঠনেও রয়েছে নারীর অংশগ্রহণ।