মাসুদ আলম : [২] শনিবার (২৪ জুলাই) সকালে কামরাঙ্গীরচরের নয়াগাঁও এলাকার তুলাগাছতলায় একটি বাসা থেকে মা ফুলবাশি (৩৫) ও তার মেয়ে সুমির (১১) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতদের গলাতেই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, এতে ধারণা করা হচ্ছে তাদেরকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে।
[৩] পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে মা ও দুই মেয়ে খাটে ঘুমানো ছিলো, আর গৃহকর্তা মুকুন্দ চন্দ্র মেঝেতে ঘুমিয়েছিলেন। ভোরের দিকে বড় মেয়ে তার বাবাকে ছোটবোন সুমির গলা চেপে ধরতে দেখেছেন। তবে তাকে হত্যা করা হয়নি। প্রায়ই ওই দম্পতির মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। হত্যার আগে তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়েছিলো।
[৪] কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নিহত দুইজনেরই গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনার পর স্বামী মুকুন্দ চন্দ্র ছারপোকার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকে বর্তমানে মিটফোর্ড হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার বড় মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মুকুন্দ কখনো মাছ ধরে বিক্রি করতেন আবার কখনো ফেরি করে বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করে সংসার চালতেন।