শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২৪ জুলাই, ২০২১, ০১:৫৯ রাত
আপডেট : ২৪ জুলাই, ২০২১, ০১:৫৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রুমা মোদক: বেঁচে থাকা রোগীর ক্ষেত্রে কোভিডাক্রান্ত অবস্থার চেয়ে কোভিড পরবর্তী অবস্থা অধিকতর জটিল

রুমা মোদক: যা বোঝা গেলো, বেঁচে থাকা রোগীর ক্ষেত্রে কোভিডাক্রান্ত অবস্থার চেয়ে কোভিড পরবর্তী অবস্থা অধিকতর জটিল। শারীরিক, মানসিক, পারিবারিক, সামাজিক সব দিক থেকেই। শারীরিকভাবে আমি যখন জানি আমি করোনা পজেটিভ, তুমুল জ্বর আর নানাবিধ উপসর্গ যেমন মাথা ব্যাথায় মাথা তুলতে না পেরে, পেট উপড়ে আসা অরুচিতে নাক টিপে খেয়ে নিজেকে প্রবোধ দিয়েছি, এই তো মাত্র কয়েকটা দিন ভালো হয়ে যাবো...। সুস্থ দিনের অপেক্ষায় অসুস্থ দিন কাটানো খুব কঠিন হয় না। কিন্তু কোভিড পরবর্তী জটিলতা অসহনীয়। সবসময় মাথা ভার, খাওয়ায় অরুচি, ইনসোমোনিয়া, ক্লান্ত লাগা এ এক দুর্বিষহ অবস্থা। অথচ রিপোর্ট সহ সবাই বলছে, আমি সুস্থ।

করোনাক্রান্ত অবস্থায় নিজে কঠোর মনোবল ধরে রাখি, অন্যরাও সান্ত্বনা দেয়, এইতো কয়েকটা দিন সেরে যাবেন। কিন্তু করোনা সেরে গেলে ক্রমাগত দুর্বলতায়, শারীরিক অস্বস্তিতে কেউ মানসিকভাবেও পাশে থাকে না, সবাই ভাবে, সুস্থই তো হয়ে গেছে। পারিবারিকভাবে পজেটিভ অবস্থায় পরিবারসহ আত্মীয়-স্বজনদের যে খোঁজ খবর, দেখভাল ছিলো, নেগেটিভ হওয়া মাত্র সবাই হাত গুটিয়ে ফেলে। এমনকি ছেলেমেয়েরাও বায়না করে এটা-ওটা রেঁধে খাওয়াতে। অথচ আমার শারীরিক যন্ত্রণা শুধু আমিই জানি।

সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয় সামাজিকভাবে। ঘরের গৃহকর্মী মেয়েটিকে বলেছি, নেগেটিভ হলে আসবি। এ কয়দিন আসার দরকার নেই। নেগেটিভ রিপোর্ট হাতে পেয়ে তাকে আসতে বললাম। এক’দুদিন কাজ করে যাবার পর তাকে সবাই সাবধান করছে, উনি তো করোনা রোগী। উনার বাসায় যাস কেন! একই ঘটনা পত্রিকাওলা সবজিওলা, দুধঅলা সবার ক্ষেত্রে। পজেটিভ অবস্থায় যাদের নিষেধ করেছি, তারা টের পায়নি কেন, নেগেটিভ হয়ে যখন আসতে বলছি, তখন পরোপকারী লোকজন তাদের নিষেধ দিচ্ছে আসতে। আর মানুষের স্বভাব গায়ে পড়া পরোপকারীর উপদেশ বেদবাক্য মনে করে মানা। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়