শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ২২ জুলাই, ২০২১, ০৯:২৪ সকাল
আপডেট : ২২ জুলাই, ২০২১, ০৯:২৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ভেড়ামারা করোনা ওয়ার্ডের ঈদ

ইসমাইল হোসেন: [২] ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ। বিশেষ এই দিনটিতে সবার মনে আনন্দ থাকলেও করোনাকালে দেশের হাসপাতালগুলোর চিত্র একদম ভিন্ন। অন্য দিনের চেয়ে ঈদের দিন হাসপাতাল চত্বর ছিল জনশূন্য। হাসপাতালে ভর্তি করোনায় আক্রান্ত রোগীর স্বজনদের ঈদ কেটেছে বিষাদে। করোনা মহামারি মধেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই পরিবার নিয়ে ঈদ উদযাপন করছেন।

[৩] কিন্তু এর মধ্যেও বহু মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। আক্রান্ত ব্যক্তির নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা এই মানুষগুলোর ঈদ আনন্দ নেই। চিকিৎসা শেষে রোগীকে সুস্থ করে কখন বাড়ি ফিরবেন এটাই চিলো তাঁদের চাওয়া।

[৪] করোনায় আক্রান্ত বাবা আসলাম উদ্দীন কে নিয়ে চার দিন ধরে ভেড়ামারা হাসপাতালে রয়েছেন আলিম। তাঁর শারীরিক খবর জানতে ফোন করছেন স্বজনেরা।করোনায় আক্রান্ত বাবার জন্য ঈদের দিন দুপুরে বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে এসেছেন সন্তান। মুখে স্বাদ না থাকায় বাবা খেতে চাইছিলেন না। তাই পাশে বসে থেকে বাবাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করতে দেখাগেছে।করোনায় আক্রান্ত বাবার জন্য ঈদের দিন দুপুরে বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে এসেছেন সন্তান। মুখে স্বাদ না থাকায় বাবা খেতে চাইছিলেন না।

[৫] তাই পাশে বসে থেকে বাবাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি।করোনার উপসর্গে স্ত্রী রমেছা খাতুনকে নিয়ে হাসপাতালে করিম। বৈদ্যুতিক পাখার বাতাস কম, তাই হাতপাখাতেই ভরসা।ঈদের আগের দিন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন শাহাদৎ খাঁ। ঈদের দিন তাঁর অক্সিজেন লেভেল ৪৭ শতাংশের নিচে নেমে যায়। হাসপাতালে সেন্ট্রাল হাই ফ্লো অক্সিজেন না থাকায় রাজশাহী নিয়ে যাওয়া হয়।

[৬] অপরদিকে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি চিথলিয়া ইউনিয়নের ৭০ বছর বয়সী সুফিয়া। করোনার আক্রান্তের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তাকে অক্সিজেন নিতে হয়েছে। মেয়ে তাকে সেবা করছেন। সুফিয়ার মেয়ে বলেন, ‘মায়ের মুখে অক্সিজেন চলছে। হাসপাতালেই কাটছে দিন-রাত। আমাদের তো ঈদ নেই। মা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেই আমাদের আনন্দ।

[৭] মিরপুর হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি বীজনগর গ্রামের বাবু (৪০), চিথলিয়ার রাশেদ (৪৫), একতারপুরের আকরাম হোসেন (৬০), গোবিন্দ (২৮), আমলা গ্রামের রোকেলা (৫০), আমকাঠালিয়া গ্রামের রহিমা (৫১). ফকিরাবাদ গ্রামের আইরিন (৩২), চিথলিয়ার ময়জান নেছা (৫০)। হাসপাতালের চিকিৎসাধীন এ সকল করোনা আক্রান্ত রোগীদের ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে ঈদ আনন্দ নেই তাদের পরিবারেও। স্বজনরা বলেন, আক্রান্তরা দ্রুত সুস্থ হয়ে পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের কাছে ফিরে গেলে সেটাই হবে তাদের জন্য বড় আনন্দের।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়