রাশিদুল ইসলাম : [২] কিছুদিন আগে হু জানিয়েছিল, আমরা এখন কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক স্তরে আছি। শুক্রবার ওই সংস্থা থেকে জানানো হল, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বিশ্ব জুড়ে যত মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হবেন, তাদের বেশিরভাগের শরীরে পাওয়া যাবে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট। গতবছর ভারতে প্রথম ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের সন্ধান পাওয়া যায়। এখনও পর্যন্ত তা ১২৪ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু গত সপ্তাহেই নতুন ১৩ টি দেশে পাওয়া গিয়েছে ওই ভ্যারিয়ান্ট। দি ওয়াল
[৩] কোভিড মহামারী নিয়ে সাপ্তাহিক রিপোর্টে হু জানিয়েছে, শীঘ্র আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে অন্যান্য ভ্যারিয়ান্টকে ছাড়িয়ে যাবে ডেল্টা। করোনার অন্যান্য যে ভ্যারিয়ান্টগুলিকে নিয়ে হু উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে আছে আলফা, বিটা ও গামা। আলফা ভ্যারিয়ান্ট প্রথম দেখা যায় ব্রিটেনে। তা ১৮০ টি দেশে ছড়িয়েছে। বিটা ভ্যারিয়ান্ট প্রথম দেখা যায় দক্ষিণ আফ্রিকায়। তা ছড়িয়েছে ১৩০ টি দেশে। গামা ভ্যারিয়ান্ট প্রথমে দেখা যায় ব্রাজিলে। তা ছড়িয়েছে ৭৮ টি দেশে।
[৪] হু জানিয়েছে, ১৮ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে ৩৪ লাখ মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। তার আগের সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এর চেয়ে ১২ শতাংশ কম। হু-এর ধারণা, এই হারে সংক্রমণ ছড়াতে থাকলে শীঘ্র মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ২০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
[৫] হু-এর মতে, চারটি কারণে বিশ্ব জুড়ে সংক্রমণ বেড়েছে। প্রথমত, কোভিডের আরও ছোঁয়াচে ভ্যারিয়ান্ট দেখা গিয়েছে। দ্বিতীয়ত, জনস্বাস্থ্য নিয়ে কড়াকড়ি শিথিল করা হচ্ছে। তৃতীয়ত, সামাজিক মেলামেশা বাড়ছে। চতুর্থত, অনেকেই এখনও ভ্যাকসিন নেননি। বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে করোনা আক্রান্তদের ৩০ শতাংশ রয়েছেন হু-র পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। ২১ শতাংশ আছেন ইউরোপীয় অঞ্চলে। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ায় সংক্রমণ বাড়ছে সবচেয়ে দ্রুত হারে।
[৬] ইতিমধ্যে ফাইজার ইনকর্পোরেটেড জানিয়েছে, তারা ২৬০০ কোটি ডলার বা প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার ভ্যাকসিন বিক্রি করবে। মোডার্না ইনকর্পোরেটেড জানিয়েছে, তারা ভ্যাকসিন বিক্রি করবে ১৯২০ কোটি ডলার বা ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার। ফাইজার ও মোডার্না জানিয়েছে, তারা কোভিড ভ্যাকসিন বেচে লাভ করবে। কিন্তু জনসন অ্যান্ড জনসন বলেছে, অতিমহামারীর সময় তারা লাভ করবে না। বুধবার ওই সংস্থা জানায়, ২০২১ সালে তারা ২৫০ কোটি ডলার অর্থাৎ প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার ভ্যাকসিন বিক্রি করবে বলে আশা করছে।
আপনার মতামত লিখুন :