রাশিদুল ইসলাম : [২] পেগাসাস প্রজেক্টে বিশ্বজুড়ে বড় ঝুঁকিতে পড়েছেন আইনজীবী, অধিকারকর্মী ও সাংবাদিকরা। কর্তৃত্ববাদী ও বিশ্বের সবচেয়ে নিষ্পেষণমূলক কিছু শাসকগোষ্ঠী ইসরাইলে তৈরি এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে নির্বাচিত অধিকারকর্মী, ভিন্নমতাবলম্বী এবং সাংবাদিকদের গোপনীয় তথ্য চুরি করতে ব্যবহার করেছে। আছে যুবতীর নগ্ন ছবিও।
[৩] ইসরাইলের এনএসও গ্রুপ বার বার বলেছে, তাদের আবিষ্কৃত পেগাসাস শুধু সন্ত্রাসী ও ভয়াবহ অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য। কিন্তু সরকারগুলো তা ব্যবহার করছে এর বাইরে নিজেদের উদ্দেশে।
[৪] রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়াও নারী অধিকারকর্মীদের টার্গেট করা হয় যৌনতাকে ব্যবহার করে ব্লাকমেইলের জন্য। সাংবাদিক ফাতিমা মোভলামলি’র অন্তরঙ্গ বেশ কিছু ছবি ফেসবুকের একটি ভুয়া পেইজে ফাঁস করা হয়। তখন ফাতিমার বয়স মাত্র ১৮ বছর। কিভাবে ওইসব ছবি ফাঁস হয়েছে তা পরিষ্কার নয়। ফাতিমা মনে করেন, পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তার ফোন নিয়ে নেয় এবং তা আনলক করতে বাধ্য করে তাকে।
[৫] ভারতে দিল্লিতে অবস্থিত জওয়াহারলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির একজন ছাত্র অধিকারকর্মী ও ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস ইউনিয়নের নেতা উমর খালিদের মোবাইল ফোনে কমপক্ষে ১০ লাখ পৃষ্ঠার তথ্য আছে। কিন্তু পুলিশ কিভাবে এইসব তথ্য হাতে পেয়েছে সে সম্পর্কে কিছুই জানায়নি। বর্তমানে উমর জেলে রয়েছেন।
[৬] এমনকি উপজাতি বা আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভারতের নিম্নবর্ণের মানুষদের অধিকার নিয়ে যেসব লেখক, আইনজীবী এবং আর্টিস্ট কাজ করেন তাদের মোবাইলে আড়ি পাতা হয়েছে। এসব ব্যক্তির অনেককে গত তিন বছরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিষয়ক অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।