শাহীন খন্দকার: [২] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম আরও বলেছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রোববার সারাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এই আশঙ্কার কথা জানান।
[৩] তিনি বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি এখন ঊর্ধ্বগামী। এ অবস্থায় ডেঙ্গু পরিস্থিতিরও যদি অবনতি হয়, তাহলে আমাদের পক্ষে সামাল দেওয়া কঠিন হবে। আর রাজধানীসহ সারাদেশের মশক নিয়ন্ত্রণে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন, তারা যদি নিজেদের জায়গা থেকে নিজেদের উজাড় করে না দেন তাহলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকবে।
[৪] নাজমুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকেও অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। ছাদে ফুলের টব, বাসার আশপাশের ড্রেনসহ সবকিছু পরিষ্কার রাখতে হবে। বাথরুমের কমোড, বালতিসহ কিছুতেই যেন পানি জমে না থাকে। বিশেষ করে তিন দিন বা তার বেশি সময়ের জন্য কোথাও চলে গেলে বাসায় কোনো পাত্রে পানি জমিয়ে রাখা যাবে না।
[৫] তিনি আরও বলেন, আমরা জানি এডিস মশা মূলত দিনের বেলায় কামড় দেয়। তাই দিনের যেকোনো সময় ঘুমালেও মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে। তারপরও যদি কারও জ্বর হয় তাহলে করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষাও করতে হবে। এবং চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই রেজিস্টার্ড কোনো চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হট লাইন বা স্বাস্থ্য বাতায়ন যোগাযোগ করে চিকিৎসা নেবেন।
[৬] ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত সর্বমোট ১ হাজার ১৩৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং এই সময়ে সর্বমোট ৮০১ জন রোগী ছাড়প্রাপ্ত হয়েছেন। তবে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে ২টি মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হলেও আইইডিসিআর মৃত্যুর পর্যালোচনা সমাপ্ত করে একটি ডেঙ্গুজনিত মৃত্যুও শনাক্ত করতে পারেনি। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান
আপনার মতামত লিখুন :