কামাল হোসেন: [২] লকডাউন শিথিলের ঘোষণায় ঈদের ছুটি কাটাতে রাজধানী ছাড়ছে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ। শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া প্রান্তে ঘরমুখো মানুষের ভীড় বাড়তে শুরু করেছে।
[৩] অপর দিকে পাড়ের অপেক্ষায় ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে প্রায় ৬শতাধিক গরুর ট্রাক ও যাত্রীবাহি বাস। এছাড়াও এখান থেকে ১৪ কিলোমিটার দুরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কেও আটকে রয়েছে প্রায় ২শতাধিক অপচনশীল পণ্যবাহি ট্রাকসহ প্রায় ৮ শতাধিক যানবাহন।
[৪] তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে গরু, চরম ভোগান্তিতে পড়েছে গরুর ব্যবসায়ীরা। যাত্রীরা অস্থির হয়ে কেউ বাইরে বেড়িয়ে পড়ছে, আবার কেওবা লঞ্চে অথবা ফেরিতে পার হয়ে ওই পাড়ে গিয়ে অন্য গাড়িতে ঢাকায় যাচ্ছে। অপরদিকে গোয়ালন্দ মোড়ে মহাসড়কে নেই খাবার হোটেল, নেই টয়লেট ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সেখানে খোলা আকাশের নিচে অনিশ্চয়তা নিয়ে দিনাতিপাত করছে চালক ও সংশ্লিষ্টরা।
[৫] যশোরগামী ঘরমুখো যাত্রী শরীফ বলেন, আর কয়েকদিন পরেই কোরবানির ঈদ তাই একটু আগে ভাগেই চলে বাড়ি যাচ্ছি। পথে তেমন কোন সমস্যা হয়নি।তবে ভাড়া একটু বেশী লেগেছে।
[৬] চুয়াডাঙ্গার গরু ব্যবসায়ী আলিম বলেন, ফেরি পাড়ের অপেক্ষায় আছি গরমে গরু অসুস্থ হয়ে পড়ছে, কয়েকটা গরু স্ট্রোক করেছে , আমরা বাতাস দিয়ে ঠিক রাখার চেষ্টা করছি। আবার স্ট্রোক করলে গরুগুলোকে বাঁচাতে পারবো না। খুব অসহায় অবস্থায় আছি।
[৭] মোড়ে আটকা পড়া ট্রাক চালক স্বপন শেখ বলেন, খাওয়া, দাওয়া, গোসল, পায়খানার ব্যবস্থা নেই। নিরাপত্তাহীন অবস্থায় এখানে খোলা আকাশের নিচে ২দিন যাবৎ আটকে আছি,
[৮] বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দীন জানান, নদীতে তীব্র স্রোত, যাত্রীবাহি ও পশুবাহী যানবাহনের চাপের ফলে ঘাট এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমরা গরু ও যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপার করছি। এ নৌরুটে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।
আপনার মতামত লিখুন :