রাশিদ রিয়াজ : শাওমি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান। এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চীনের শীর্ষ উদ্যোক্তা লি জুনের দানের অর্থ দাতব্য কাজে ব্যবহার হবে। ২০১৮ সালে হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হবার পর শাওমি ৪.৭২ বিলিয়ন ডলার মূলধন সংগ্রহ করে। সমাজসেবা ও শিল্পের সুরক্ষার জন্যে এ অর্থ ব্যয় তবে। গত ১৩ জুলাই তিনি শাওমি ফাউন্ডেশনে ৬১৬ মিলিয়ন ‘বি’ ক্লাস শেয়ার দান করেন। এর আর্থিক মূল্য হচ্ছে ২.২ বিলিয়ন ডলার। লি জুনের মোট সম্পদের পরিমান ২৫.৭ বিলিয়ন ডলার। তার মত চীনের অন্যান্য উদ্যোক্তা যেমন বাইটড্যান্স লিমিটেডের ঝ্যাং ইমিং ও মেইটুনের ওয়াং ঝিং একই ভাবে দাতব্য কাজে বিলিয়ন ডলার দান করছেন। ব্লুমবার্গ
চীনের শীর্ষ কোটিপতিরা যুক্তরাষ্ট্রের মতই অনলাইন শপিং, রাইড ও অনলাইন পেমেন্ট ব্যবসা থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছেন। তবে বেইজিং সরকার দেশটির শীর্ষ প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের ওপর বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করছে। গত শুক্রবার শাওমির শেয়ার মূল্য বৃদ্ধি পায় ৪.৮ শতাংশ। হংকং বেঞ্চমার্ক হ্যাং সেং ইনডেক্সে এদিন শাওমি সবচেয়ে ভাল ব্যবসা করে। শাওমি এদিন এ্যাপেলকে ছাড়িয়ে যায়। লি জুন তার কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন অনেক ত্যাগ ও দায়িত্ব পালনের মধ্যে দিয়ে গত ১১ বছর নিরবচ্ছিন্ন কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে বিশে^র দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল কোম্পানিতে শাওমির স্থান লাভের জন্যে তারা যথেষ্ট পরিশ্রম করেছেন। এধরনের ব্যবসাকে তিনি কৌশলগত বিজয় বলে অভিহিত করেন। তবে উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্যে তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
তবে বেইজিং সরকারের কোপানল থেকে লি জুনের শাওমি রক্ষা পেয়েছে। জ্যাক মা’র আলিবাবাকে জরিমানা দিতে হয়েছে ২.৮ বিলিয়ন ডলার। ফুড ডেলিভারি মেইটুয়ানের প্রতিষ্ঠাতা ওয়াং দান করেছেন ২.৩ বিলিয়ন ঢলার। মেইটুয়ানের বিরুদ্ধে বেইজিং সরকারের তদন্ত চলছে। তবে এতকিছুর পরও চীনে গত ৬ মাসে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে ৩৪ শতাংশ। এর আর্থিক পরিমান হচ্ছে ৬০৭ বিলিয়ন ইউয়ান বা ৯১ বিলিয়ন ডলার। বছরে এধরনের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে ৩৩.৯ শতাংশ। চীনের সেবাখাতে সবচেয়ে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। এর পরিমান ৭৪.৬১ বিলিয়ন ডলার। এরপরেই প্রযুক্তি খাতে রয়েছে বিনিয়োগের পরিমান। চীনে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হচ্ছে বেল্ট এন্ড রোড ইনেশিয়েটিভ উদ্যোগ। এই একটি উদ্যোগেই অংশীদার দেশগুলোর বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৯.৬ শতাংশ। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর চীনে বিনিয়োগ বেড়েছে ৫০.৭ শতাংশ। ইউরোপের দেশগুলোর বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে ১০.৩ শতাংশ। ২০১৯ সালে চীনে যে পরিমান বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে তার পরের বছর বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে সাড়ে ৪ শতাংশ। সরাসরি এ বিনিয়োগের পরিমান ছিল ১৪৪.৩৭ বিলিয়ন ডলার।
আপনার মতামত লিখুন :