শিরোনাম
◈ গণঅভ্যুত্থান সরকারের কেউ কেউ ‘লুটপাট’ করে বেহুঁশ হওয়ার দশা: ইশরাক হোসেন ◈ যে কারণে পিআর পদ্ধতি চায় জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন ◈ ‘মেগাস্টার’ শব্দকাণ্ডে বিতর্ক: “আমি মানুষটা ছোট, অন্যকে ছোট করব কীভাবে” — জাহিদ হাসান ◈ এবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শিল্পকলার চারুকলা পরিচালক ◈ কেশবপুর পৌরসভার  সাবেক মেয়র রফিকুল গ্রেফতার ◈ বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় ◈ পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এবছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ◈ ডার্পা প্রযুক্তি : যেভাবে তারবিহীন বিদ্যুৎ আবিষ্কার করে অবাক করলো বিশ্বকে (ভিডিও) ◈ নির্বাচন নিয়ে আবার সন্দেহ, অনিশ্চয়তার কথা কেন আসছে? ◈ মর‌ক্কোর স‌ঙ্গে প্রী‌তি ম্যাচ খেল‌তে চায় বাংলাদেশ, ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রস্তাব

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২১, ০৪:১৫ সকাল
আপডেট : ১৭ জুলাই, ২০২১, ০৪:১৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুশফিক ওয়াদুদ: এলিটিজমের চর্চায় ক্ষতিগ্রস্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

মুশফিক ওয়াদুদ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির সার্কুলার নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে ফেসবুকে। সার্কুলারটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বলছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ আবেদন করতে পারবেন না। নিঃসন্দেহে অ-ন্যায্য একটি সার্কুলার। সিদ্ধান্তটি অ-ন্যায্য হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে। প্রথমত, ইউজিসি এবং সরকার অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে কেনো সরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে কেউ ভর্তি হতে পারবেন না? তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স এবং এমবিএ প্রোগ্রামগুলো টিকে আছে মূলত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে দিয়ে। যে সব প্রোগ্রামে অস্বাভাবিক টিউশন ফি নেওয়া হয় অনেক ক্ষেত্রে ঠিক মতো ক্লাস না করিয়েই। এসব কোর্সে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারলে পিএইচডিতে কেনো পারবেন না। কারণ হয়তো এই প্রোগ্রামগুলোতে প্রাইভেটের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের টাকা বানানোর মেশিন। এই দুই প্রোগ্রামে দুই ধরনের নিয়মই সমস্যা যুক্ত। এই আলোচনা একটি ইস্যুতেই সীমাবদ্ধ না থাকুক। এ সমস্যার মূলে যে বিষয়টি সেটা হলো আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রবল একটি বৈষম্য বিদ্যমান, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েটে এলিটিজম চর্চা হয়। দেশের পুরো উচ্চ শিক্ষা এই দুই প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে আবর্তিত হয়। এই এলিটিজমের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলো।

দেশের কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের সামাজিক মর্যাদা অত্যন্ত কম। আমি শিক্ষা বিটের রিপোর্টার থাকার সময় এসব কলেজের বহু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হতো। সেসব আলাপে বুঝেছি তাদের বেশিরভাগই খুবই লো সেল্ফ স্টীমে ভোগেন। অথচ এই সব কলেজগুলো আমাদের উচ্চ শিক্ষার বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারতো। ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ কিংবা যশোর এম এম কলেজ অথবা চট্রগ্রাম কলেজের এক একটির যে অবকাঠামো আছে তা ১০/১৫ টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেশি। কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের প্রতি এমন স্টিগমা পৃথিবীর আর কোথাও আছে বলে আমার মনে হয় না। যুক্তরাষ্ট্রে বহু বিখ্যাত মানুষ কলেজে পড়েছেন। স্টিভ জবস তার ভালো একটি উদাহরণ হতে পারে। পুরো উচ্চ শিক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েট কে ঘিরে আবর্তিত হওয়ার কারণে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো বিকশিত হতে পারছে না। বিশেষ ভাবে, জাহাঙ্গীরনগরের কথা বলবো। ভালো মানের একটি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার সব ধরনের সম্ভাবনা এর ছিলো। কিন্তু যেখানে ক্লাসের ফাস্ট বয় ঠিক মত পাস করতে পারে না, সেখানে অন্যদের মধ্যে ভালো করার চেষ্টা কেন থাকবে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েট কে নিয়ে এই এলিটিজম দূর করতে না পারলে এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার কোনো উন্নতি হবে না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়