ডেস্ক রিপোর্ট: আধুনিক ‘ভারতীয় শিল্পের জনক’ হিসেবে পরিচিত তিনি। অকাট্য পরিশ্রম এবং অধ্যবসায় দিয়েই ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্মাতা হয়ে উঠেছিলেন জামশেদজী টাটা। এমনকি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুও তাকে ‘একক পরিকল্পনা কমিশন’ বলে উল্লেখ করেছিলেন৷ ব্লগিংগো
বর্তমানের জামশেদপুর শহরও তিনি নির্মাণ করেছিলেন। দেশের নানা ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তিনি ব্যবসা ক্সহারাও সার্বিক ভাবে দেশের উন্নতির জন্য যুব শক্তির জন্য মানুষের শিক্ষার জন্য কাজ করে গেছেন। ভারতীয় ছাত্রদের উচ্চ শিক্ষার জন্য ১৮৯২ সালে জেএন টাটা এন্ডোমেন্ট নির্মাণ করেছিলেন তিনি।
তিনি প্রথমে বস্ত্র বয়ন শিল্পের মাধ্যমেই সবার নজরে আসেন। তারপর ধীরে ধীরে বাকি ক্ষেত্রেও ছড়িয়ে দেন নিজের ব্যবসা। কিন্তু তিনি শুধু ব্যবসাদার নন, তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত সমাজসেবীও। আর তার এই সমাজসেবামূলক কাজকেই স্বীকৃতি দিল এডেলগাইভ হুরুন।
এই শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ সমাজসেবী হিসেবে বিবেচিত হলেন জামশেদজী টাটা। তালিকায় শীর্ষস্থানে থাকা জামশেদজীই একমাত্র ভারতীয় যিনি এক থেকে দশম স্থানের মধ্যে রয়েছেন। এই সংস্থা জানিয়েছে, নিজের সম্পদের প্রায় ১০২.৪ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৭.৬ লক্ষ কোটি টাকা শুধুমাত্র সমাজসেবার কাজেই দান করেছিলেন জামশেদজী।
এই তালিকায় আরো কয়েকজন ভারতীয়র নাম রয়েছে, যাদের মধ্যে আছেন আজিম প্রেমজি তিনি আছেন দ্বাদশ স্থানে। যিনি ছিলেন উইপ্রো কোম্পানির জনক।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিল এবং মেলিন্ডা গেটস। সংস্থা জানিয়েছে বিল এবং তার স্ত্রী মেলিন্ডা নিজেদের সম্পদের ৭৬.৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন সমাজসেবায়। তৃতীয় স্থানে থাকা হেনরি ওয়েলকাম তাঁর সম্পদের ৫৬.৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছিলেন জনসেবায়।