রিতা রায় মিঠু: বাঙালি কি শুধু নেগেটিভ চিন্তা করতে অভ্যস্ত, নেগেটিভ কথা বলে অভ্যস্ত। পজেটিভ চিন্তা করার কথা বাঙালি কি ভাবতেই পারে না। এই যেমন করোনার কথা ধরা যাক, ফেসবুকে টিভিতে পত্রিকায় হাঁকডাক করে প্রচার হচ্ছে, দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ! করোনা ডেলটা গ্রামেও ছড়িয়ে গেছে, লাখে কোটিতে মানুষ আক্রান্ত, মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে, হাসপাতালে সিট নেই, শুধুই নেগেটিভ সংবাদ। এসব কথা শুনতে শুনতে মানসিকভাবে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছি। করোনায় আক্রান্ত মানুষের সুস্থ হওয়ার সংবাদ প্রচার হয় না। কেন সুস্থ হওয়ার সংবাদ প্রচার পায় না। সুস্থ হওয়ার সংবাদ যতো বেশি প্রচারিত হবে, সাধারণ মানুষ বুকে সাহস পাবে, বিপদ উত্তরণের দিশা খুঁজে পাবে। হাত পা গুটিয়ে ঘরে বসে থাকা তো সমাধান নয়।
লকডাউন চিরস্থায়ী কোনো রক্ষাকবচও নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ, জিমনেসিয়াম, হাট বাজার, অফিস আদালত, কোর্ট কাচারি সাময়িক বন্ধ রাখা যায়, এসব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘকাল বন্ধ রেখে সবাইকে কি নন্দলাল সাজিয়ে ঘরে রাখা সম্ভব? নন্দলালদের পেটের ভাত কে জোটাবে? লকডাউন আজ কঠোর হচ্ছে তো কাল শিথিল হচ্ছে। এটাই বা কেমন খেলা। শিথিলই যদি করবেন, তাহলে লকডাউন দেয়ারই দরকার কী। আর লকডাউন যদি দিবেনই তাহলে তার আবার কঠোর শিথিল কী? কোরবানির ঈদ সামনে। গরুর হাট হবে, বাসে ট্রেনে করে গরু আসবে, অনেকেই গরু খাসি কিনতে হাটে যাবে, ঈদের দুইদিন আগে শহর ছেড়ে গাদাগাদি করে মানুষ গ্রামের বাড়ি যাবে। তাই লকডাউন শিথিল হবে। তাহলে আর এত নেগেটিভ সংবাদ প্রচার করে লাভ কী? একদিকে প্রচারিত হচ্ছে, করোনা গ্রামেও ছড়িয়ে গেছে। আবার ঈদে যেনো বাস-ট্রাক-ট্রেন ফেরি বোঝাই করে শহুরে মানুষ গ্রামে যেতে পারে, তার জন্য লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। কেমনে কী? কোনটা বিশ্বাস করবো? করোনা কী দেশে আসলেই ভয়াবহ হয়ে ওঠেছে নাকি এসবই বাঙালির নেগেটিভ সংবাদ প্রচারে অতি আগ্রহ! করোনার এই সংকটে আজ কঠোর লকডাউন কাল শিথিল, স্কুল কলেজে যাওয়া বন্ধ কিন্তু কোরবানির হাটে যাওয়া যাবে, - এতো বেরা ছেড়া না করে সবচে সহজ এবং পজিটিভ এটিটিউড নিয়ে বলুন, ‘যার যার জীবন রক্ষার দায়, তার তার ওপর ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। করোনা থেকে বাঁচতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, নিজে সুস্থ থাকুন, পরিবারকে সুস্থ রাখুন’। ফেসবুক থেকে