শেখ ফরিদ আহমেদ : [২] আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে মঙ্গলবার ভোররাতের কোনো এক সময়ে বেতনা নদীর চরে ফেলে যায় নবজাতকটিকে।
[৩] পরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নবজাতকটিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাড়ে ১২ টার দিকে মারা যায় শিশুটি।
[৪] স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে ব্রীজের নিচে নদীর চরে একটি শিশুকে দেখতে পায় পথচারীরা। ধারণা করা হচ্ছে ব্রীজের ওপর থেকে নবজাতকটিকে ফেলে দেয়া হয়েছে। আর যারা ফেলে দিয়েছেন ভেবেছিলেন শিশুটি মারা গেছে। তবে ভাগ্যক্রমে জীবিত ছিলো। তবে মাথায় গুরুতর জখম ছিলো। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়।
[৫] কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত আল হারুন রশিদ জানান, ঘটনাটি জানার পরই নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অনেক উঁচু থেকে ফেলে দেয়ায় মাথা ফেটে গুরুতর জখম শিশুটি। আমি দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।
[৬] আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম কবির জানান, শিশুটি বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। ঘটনাটি দুঃখজনক। খোঁজখবর নিচ্ছি। যারা নবজাতকটিকে হত্যা করলো তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :