ইমরুল শাহেদ: এ তথ্য জানিয়েছেন প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস। তিনি বলেন, নতুন প্রজ্ঞাপনে কি থাকবে সেটার উপর নির্ভর করছে সিনেমা হল খোলা রাখা যাবে কিনা। মঙ্গলবার প্রকাশিত সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সব পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। সিনেমা হল পড়েছে বিনোদন কেন্দ্র ক্যাটেগরিতে।
তিনি বলেন, যেহেতু সিনেমা হলকে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে সিনেমা হল খোলা রাখার কোনো সুযোগ নেই। তিনি জানান, এই নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনারও সুযোগ নেই। তথ্যমন্ত্রী রয়েছেন দেশের বাইরে। তিনি থাকলে হয়তো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যেত। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে প্রযোজকরাও ছবি দিতে রাজী হবেন না। কারণ দর্শক সিনেমা হলে না এলে প্রযোজকের লগ্নীর অর্থ যেমন উঠে আসবে না, তেমনি সিনেমা হলের ব্যয়ও নির্বাহ করা যাবে না।
সুতরাং সিনেমা হল মালিকরা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সিনেমা হল খুলে লোকসান দিতে এগিয়ে আসবেন না। প্রযোজক পরিবেশক সূত্রে জানা গেছে, তাদের অনেকগুলো ছবি মুক্তির জন্য রেডি হয়ে আছে। মুক্তির সুযোগ না থাকায় বড় অংকের অর্থ লগ্নী অলস পড়ে আছে। এসব ছবি যদি মুক্তি পাওয়ার সুযোগ থাকতো তাহলে আরো অনেক নতুন ছবির কাজ শুরু হতো। তাতে চলচ্চিত্রশিল্প আবারও উজ্জীবিত হয়ে উঠতো। এছাড়া এ বছর অনুদান পেয়েছে ২০টি ছবি।
ম্যুভমেন্ট নিষেধাজ্ঞায় কেউ কাজ শুরু করতে পারছেন। সংশ্লিষ্ট প্রযোজকরা ইতোমধ্যে অনুদানের প্রথম কিস্তির টাকাও পেয়েছেন। সে টাকা কাজে লাগানোর মতো সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। অতীতের আলোকে বলা নানা অজুহাতে অনুদানের ছবিগুলো নির্মাণে বিলম্ব হয়। এজন্য এ বছর সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। আগে দেওয়া অনুদানের কোনো ছবিও ঈদে মুক্তি দেওয়ার সম্ভাবনা নাই।