শিরোনাম
◈ খালেদা জিয়াকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উৎকণ্ঠা—এভারকেয়ারে নজর সবার ◈ প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে বাড়তি খরচ কমাতে নতুন ছক চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ ১০ মাস পর প্রার্থী পরিবর্তন: খুলনা-১ এ জামায়াতের টিকিট পেলেন কৃষ্ণ নন্দী ◈ খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এভারকেয়ারে ◈ উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক বাজারে যুক্ত করতে পে-প্যালের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে: গভর্নর ◈ 'স্বেচ্ছা নির্বাসনে' যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ ◈ স্কুলে ভর্তির নীতিমালা সংশোধন, বয়সসীমা শিথিল করল মাউশি, রেজিস্ট্রেশনের বয়সে কঠোর বোর্ড ◈ ভূমিকম্প থে‌কে রক্ষা পেতে জাপানের কাছ থেকে যা শিখতে পারে বাংলাদেশ ◈ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা ◈ তালাক হলেও ফিরে আসার পথ—ইসলামী বিধান অনুযায়ী করণীয়

প্রকাশিত : ১১ জুলাই, ২০২১, ০৭:৪৫ বিকাল
আপডেট : ১১ জুলাই, ২০২১, ০৭:৪৫ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] করোনাকালে মৌলভীবাজারের কামারশালায় নেই ব্যস্ততা, হতাশায় কামাররা

সোহেল রানা: [২] করোনার প্রভাব পড়েছে মৌলভীবাজারের কামারশালা গুলোতেও। কয়েকদিন পরেই কোরবানি ঈদুল আযহা দা,বটি,ছুরি-চাকু তৈরিতে এসময়টাতে তাদের ব্যস্ত সময় পার করার কথা। এবার আর সেই রমরমা অবস্থাটি নেই। দা,বটি,ছুরি-চাকুর চাহিদা এবার আগের মতো তেমন না।

[৩] করোনা পরিস্থিতিতে গরু ও ছাগল কেনা নিয়েই যেখানে সাড়া নেই,সেখানে পশু জবাইর সরঞ্জামাদি দিয়ে কি হবে। কামার পাড়ায় দা-ছুরি তৈরি করে বাড়তি আয়ের উচ্ছাসও চোখে পড়ছে না এবার। হতাশায় সময় কাটছে কামারদের। জেলা সদরস

[৪] শ্রীমঙ্গল,বড়লেখা,রাজনগর,কমলগঞ্জ উপজেলায় সরেজমিনে ঘরে কমলগঞ্জের ভানুগাছ বাজারে কথা হয় দিলিপ কামারির সাথে তিনি বললেন,এই পেশা আমার বাপ দাদার থেকে পেয়েছি। প্রতি কোরবানির ঈদের এক মাস পূর্ব থেকে ছুরি-চাকু বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু তৈরি করে রাখা ছুরি-চাকু বিক্রি হচ্ছে না তেমন একটা। তারপরও আমরা বসে নেই। বসে থাকলে তো চলবে না। নতুন কামারি বললেন,পুরো বছরের মূল রোজগার হয় এই কোরবানি ঈদে। কিন্তু গত ঈদ থেকে ছুরি-চাকু বিক্রি নেই বললেই চলে।

[৫] তবু বিক্রির আশায় ঘুম নষ্ট করে জিনিসপত্র তৈরি করে রাখছি। তিনি বলেন,ভালমানের লোহা পাওয়া কঠিন। লোহার দর বেড়েছে। সেই তুলনায় জিনিস বিক্রি করা কঠিন হচ্ছে। যাই হোক,আশা ছাড়ছি না। ঈদের এক সপ্তাহ পূর্ব থেকে বিক্রি শুরু হতে পারে।

[৬] মহেশ দেব বলেন-জানান,প্রতি বছর ঈদের মৌসুমে বেচাকেনার পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এই আয় থেকে সারা বছরের সংসারের খোরাক হয়,পোশাক ও ছেলে মেয়ের লেখাপড়া খরচ চলে যায়। করোনায় মানুষের হাতে টাকা পয়সা না থাকায় এবার বেচাকেনা ও অস্ত্র তৈরি অর্ডার নেই। তাই বিপাকে পড়েছে কারিগরা। অনেক আবার লোকসানের ভয়ে বন্ধ করে রেখেছেন দোকন ঘর।

[৭] এসব নিয়ে সমাজসেবক ও ব্যসায়ীব লেন,গত বছর থেকে ঈদে আর আনন্দ নেই মানুষের মনে,বেড়েছে অর্থনৈতিক সংকট। করোনার লকডাউনে ঈদ বিষাদে পরিণত হয়েছে।

[৮] এমন কথাই বললেন আরো কয়েকজন। করোনা পরিস্থিতির দিকে তারা তাকিয়ে আছেন। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে পশু কেনাবেচা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়