সুমাইয়া ঐশী: [২] দেশ-বিদেশের মোট ২৮ জন হত্যাকারী জড়িত এ ঘটনায়, বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৮। [৩] বুধবার হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসিকে নিজস্ব বাসভবনে ঢুকে হত্যার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন দেশটির ফার্স্টলেডি মার্টিন মোইসিও। শনিবার হাসপাতালের বিছানা থেকেই প্রথমবারের মতো মুখ খোলেন মার্টিন, বর্ণনা দেন পুরো ঘটনার। তবে তার অভিযোগের আঙুল বিপক্ষ দলের দিকেই। আল জাজিরা
[৪] ৪৭ বছর বয়সী মার্টিন বর্তমানে বেশ সুস্থ। ঐ রাতের ঘটনার কথা বলতে গিয়ে জানান, তার চোখের সামনে কয়েকজন ঘরে ঢুকে জোভেনেলকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাকে শেষ একটি কথা বলার সুযোগও দেওয়া হয়নি। মার্টিন আরো বলেন, হাইতির জনগণের উন্নয়নের জন্য জোভেনেলের পরিকল্পনা মেনে নিতে পারেনি তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা। দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য বিশেষ করে সংবিধান পরিবর্তনের জন্য তার গণভোটের উদ্যোগের সঙ্গে একমত ছিলো না তারা। এজন্য বাইরে থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত খুনিদের দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ইয়ন
[৫] হাইতির পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশ-বিদেশের মোট ২৮ জন খুনিকে এ কাজে নিযুক্ত করা হয়েছিলো। তাদের মধ্যে ২৬ জন ছিলো কলোম্বিয়ার নাগরিক এবং দুজন হাইতির বংশদ্ভুত মার্কিন নাগরিক। তারা ফ্লোরিডার বাসিন্দা ছিলো।
[৬] পুলিশ বলছে, ফ্লোরিডার ঐ দুই হাইতির বংশদ্ভুতসহ মোট ১৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে তাদের নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনও করা হয়। এছাড়া, পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে আটজন সন্দেহভাজন হত্যাকারী এবং এখনো তিনজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। স্কাই নিউজ
[৭] এর আগে পরিস্থিতি সামলাতে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের কাছে সৈন্য পাঠিয়ে সহায়তা চেয়েছিলো হাইতি। তবে সেনা না পাঠালেও এফবিআই এবং কলোম্বিয়ার গোয়েন্দারা প্রেসিডেন্টের এই হত্যার তদন্তে সাহায্য করছে বলে জানা গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :