সুজিৎ নন্দী: [২] এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৬ জন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (আনিক) ও করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলো পরিচালনা করা হয়েছে।
[৩] অভিযানকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২১৬টি ভবন ও নির্মাণাধীন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং ২০টি ভবন ও নির্মাণাধীন স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় এবং অননুমোদিতভাবে দোকান খোলা রাখা ও যান চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করার জন্য জরিমানা আদায় করা হয়।
[৪] শনিবার করপোরেশনের ১, ২, ৩, ৫, ৯ ও ১০ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও সম্পত্তি বিভাগের দু'জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নগরীর ধানমন্ডি, জিগাতলা, হাজারীবাগ, শাজাহানপুর, কদমতলা, কে এম দাস লেন, অভয় দাস লেন, মাতুয়াইল ও শ্যামপুর এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
[৫] অঞ্চল-১ এর অভিযানকালে ১৫টি স্থাপনায় পরিদর্শন করেন। এ সময় গণপূর্ত অধিদপ্তরের একটি ও বাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সুবাস্তু’র একটি নির্মাণাধীন ভবনসহ মোট ৪টি ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় মোট ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
[৬] ১১ নং ওয়ার্ডের উত্তর শাহজাহানপুরের আমতলা এলাকায় ৫০টি ভবন পরিদর্শন শেষে ৬টি ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৬টি মামলা দায়ের ও ১ লাখ ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
[৭] অঞ্চল-৩ এর কর্মকর্তারা হাজারীবাগ ও জিগাতলায় অভিযানে ১০টি স্থাপনা পরিদর্শনকালে দুটি নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। ৩৯নং ওয়ার্ডের অভয় দাস লেন ও কে এম দাস লেন এলাকায় ৩০টি বাড়ি ও নির্মাণধীন ভবন পরিদর্শনকালে দুটি ভবন ও দুটি দোকানে লার্ভা পাওয়ায় মোট ৫ হাজার জরিমানা আদায় করা হয়।
[৮] অঞ্চল-৯ এর ৩০টি নির্মাণাধীন ভবন ও কারখানা পরিদর্শনকালে একটি বাড়ির সামনে রাস্তায় বর্জ্য ফেলে যান চলাচল ও লোকজনের চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি করায় তিন হাজার টাকা জরিমানা করে।
[৯] এছাড়াও ৫টি নির্মাণাধীন ভবনে মশার প্রজননস্থল দেখতে পাওয়ায় আদালত সেসব বাড়ির মালিকদেরকে একদিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে তাদের বাড়িগুলো সিলগালা করা হবে মর্মে বাড়ির মালিকদেরকে জানিয়ে দেন। অভিযান চলমান থাকবে।