রাশিদুল ইসলাম : [২] আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক হামাদুল্লাহ মোহিব বলেছেন রাশিয়া, ভারত ও চীনের সামরিক বাহিনী ছাড়াও যে কোনো দেশের কাছ থেকে তার সরকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কারিগরীসহ সব ধরনের সহায়তা স্বাগত জানাবে। তবে এধরনের সহায়তা যাতে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের শামিল না হয় সে বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার কথা বলেন তিনি। স্পুটনিক
[৩] হামাদুল্লাহ বলেন, আমরা আফগানিস্তানে একটি পরাশক্তির স্থলে আরেক পরাশক্তির আগমন চাই না। সহায়তার ভিত্তি হবে আফগানিস্তান ও এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের সহায়তাকে তিনি স্বাগত জানান।
[৪] তিনি দাবি করেন, আফগান কর্তৃপক্ষ আফগানিস্তানের অন্যান্য গোষ্ঠীর পাশাপাশি ‘একচেটিয়া’ নয়, বরং বৈধ রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে তালেবানের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
[৫] এদিকে তালেবান কান্দাহার, ইসলাম কালা ও আবু নাসা ফারাহির মত কৌশলগত এলাকা দখলে নেওয়ার দাবি করেছে। তালেবানদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আফগানিস্তানে ভবিষ্যতে আইএস’এর মত জঙ্গি গোষ্ঠীর কোনো কর্মকাণ্ড চলতে দেওয়া হবে না।
[৬] মার্কিন বিমান বাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল কারেন কুইয়াটকভস্কি স্পুটনিককে বলেছেন আফগান সরকার মাত্র কয়েক মাস টিকে থাকবে। গৃহযুদ্ধ এড়িয়ে আফগানিস্তানে শান্তি ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।