আব্দুম মুনিব: [২] কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে কুষ্টিয়া জেলার খামারিদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। অনান্য বছরের মতো দেশের বিভিন্ন হাটে বিক্রির জন্য এবারও জেলায় দেড় লক্ষাধীক গরু-ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে।
[৩] সারাদেশেই কুষ্টিয়া অঞ্চলের পশুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিগত বছর গুলোতে ঈদের এক মাস বাকি থাকতেই দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ব্যাপারীরা পছন্দের গরু ছাগল ক্রয়ের জন্য ভিড় করতেন। কিন্তু করোনার কারণে এবারের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২১ জুলাই কোরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হতে পারে। সে হিসাবে ঈদের আর ১১-১২ দিন বাকি। কিন্তু করোনা রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধে ব্যাপারীদের আসতে পারছে না। জেলার সব পশুর হাটও বন্ধ। অনিশ্চয়তায় জেলার অন্তত ১৮ হাজার খামারি।
[৪] এমনিতেই করোনার কারণে গত কোরবানির ঈদের প্রায় ২০-২৫ ভাগ অবিক্রীত পশু। এবারও যদি পশু বিক্রি করতে না পারেন তাহলে এ অঞ্চলের হাজার হাজার খামারি একেবারেই পথে বসবেন।
[৫] জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.সিদ্দিকুর রহমান জানান, জেলায় প্রায় ১ লাখ ৫১ হাজার গরু ও ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে। এর মধ্যে গরু ৯০ হাজার। ছাগল ৬১ হাজার। গত বছরের তুলনায় এ বছর পশুর সংখ্যা বেশি। জেলার অন্তত ১৭ হাজার ৭৯৩ জন খামারির পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের প্রায় বাড়িতেই গরু-ছাগল পালন করা হয়। করোনার কারণে লকডাউনে জেলার ১৫টি হাটের সব কটি বন্ধ। এদিকে পশুর হাট বন্ধ থাকায় জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে খামারিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে অনলাইনে বিক্রির জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :