সোহাগ গাজী:[২] করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে ৭ম দিনের কঠোর লকডাউন। রাস্তার মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ বিজিবি ও সেনাবাহিনী। কিন্তু এরপরেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে লকডাউন দেখতেই বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন অনেকেই ।
[৩] দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার রাণীরবন্দর বাজার এলাকায় দেখা যায়, মানুষ অহেতুক ঘোরাঘুরি মানুষের। তাদের সাথে কথা বলে জানাগেছে লকডাউন কঠোর কেমন হচ্ছে তাই দেখতে তারা রাস্তার দু-ধারে ভিড় জমাচ্ছেন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়ছে।
[৪] উপজেলার চিরিরবন্দর ও রাণীরবন্দর হাট ,ভুষিরবন্দর বিন্যাকুড়ি বাজারে দেখা যায়, দোকান পাট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও সুযোগ বুঝে দোকানের সাটার খুলে ঠিকই বেচাকেনা চলছে।উপজেলার বেকিপুল বাজার, দূর্গাডাঙা বাজার, কুতুবডাঙা,চম্পাতলী,তারকশাহার হাট,নয়াবাজারসহ বেশ কিছু প্রত্যন্ত গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, সন্ধ্যা নামলেই সেখানকার মানুষেরা আড্ডায় মেতে উঠছেন।
[৫] দোকানগুলোতে চলছে চা-সিগারেট বিক্রির ধুম। তাঁদের মাঝে সচেতনতা নেই বললেই চলে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাব্বির হায়দার বলেন, লকডাউনের এই ১৪ দিন যদি আমরা ঘর থেকে বের না হই। তাহলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে আসবে। তাই সাধারণ মানুষ অযথা জটলা বেঁধে আড্ডা না দিয়ে ঘরের ভেতরে থাকাটা এখন খুব জরুরি।অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার বলেন, আমরা সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
[৬] তবে কিছু লোক অযথা ঘোরাঘুরি করছে। কেউ কেউ লকডাউন দেখতেই বাড়ির বাইরে বের হয়েছেন। তবে সচেতন লোকেরা ঠিকই দায়িত্বশীল আচরন করছেন। তারা নিজেরাও বাড়িতে থাকছে এবং অন্যকেও বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে।উল্লেখ্য, গত বুধবার পর্যন্ত চিরিরবন্দর উপজেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩২০ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। আর মোট সুস্থ হয়েছেন ২৫০ জন।
আপনার মতামত লিখুন :