শাহীন খন্দকার: [২] উপমহাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের । শোক বার্তায় তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
[৩] বুধবার (৭ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় ভারতের মুম্বাইয়েরে পিডি হিন্দুজা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই বর্ষীয়ান অভিনেতা। এর আগে রোববার (৩ জুলাই) তার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি টুইট করে দিলীপ কুমারের অসুস্থতার কথা জানানো হয়। টুইটে স্ত্রী সায়রা বানু, কিংবদন্তি অভিনেতার জন্য প্রার্থনা করার আবেদন করেছিলেন।
[৪] চিকিৎসক ডা. নিতীন গোখলের তত্ত্বাবধানে চলতে থাকে তার চিকিৎসা। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন তার ফুসফুসে পানি জমেছে। করা হয় একাধিক পরীক্ষা। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণ তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয় আইসিইউতে।
[৫] এদিন সকালে চিকিৎসকরা জানান, অভিনেতার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বয়সের কারণে বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যা রয়েছে দিলীপ কুমারের। মে মাসের শুরুতে তাকে দীর্ঘসময় হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। দিলীপ কুমারের জন্ম ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর। তার প্রকৃত নাম মোহাম্মদ ইউসুফ খান। রূপালি পর্দায় ক্যারিয়ার শুরুর সময় নাম পাল্টান তিনি। ছয় দশকের অভিনয় জীবনে ‘মধুমতি’, ‘দেবদাস’, ‘মুঘল-এ-আজম’, ‘গঙ্গা যমুনা’, ‘রাম অউর শ্যাম’, ‘কর্ম’র মতো অসংখ্য ধ্রæপদী সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। দিলীপ কুমারকে বলা হয় বড় পর্দার ‘ট্র্যাজেডি কিং’।
[৬] সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে ‘কিলা’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। ভারত সরকারের কাছ থেকে ‘পদ্মবিভূষণ’ খেতাব পেয়েছেন দিলীপ কুমার। ১৯৯১ সালে তাকে দেওয়া হয় ‘পদ্মভূষণ’। এর তিন বছর পর তিনি পান দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ডও।
আপনার মতামত লিখুন :