রাশিদুল ইসলাম : [২] যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় উৎসব স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে কোথাও হয়েছে প্যারেড, কোথাও আতশবাজি ফোটানো হয়েছে। আবার কোথাও চলেছে গুলি। সিএনএন
[৩] গান ভায়োলেন্স দাবি করেছে, তালিকা এখনও সম্পূর্ণ নয়। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ভুক্তভোগী বা তাদের পরিবারকে সংগঠিত সহিংসতার তথ্য দিতে অনুরোধ জানিয়েছে একাধিক রাজ্যের পুলিশ। স্বাধীনতা দিবসের উৎসবের মাঝে যুক্তরাষ্ট্রে রক্তাক্ত এই সংঘাতের ঘটনা বিরল।
[৪] সিএনএনের প্রতিবেদন বলছে, শুধু নিউইয়র্কেই শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত ২১ জায়গায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গত বছরের তুলনায় নিউইয়র্কে গুলির ঘটনা ৪০ শতাংশ বেড়েছে। এ বছর গুলির ঘটনা ঘটেছে ৭৬৭টি। আর হতাহত হয়েছেন ৮৮৫ জন।
[৫] ছুটির দিনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটে থাকে শিকাগোয়। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে সিটি কাউন্সিল নতুন উদ্যোগও নিয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
[৬] শিকাগো পুলিশ সুপার ডেভিড ব্রাউনের মতে, ‘বছরের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সপ্তাহান্ত’ ছিল এবারের স্বাধীনতা দিবস। ৮৩ জন মানুষকে গুলি করা হয় এ সময়, যাদের মধ্যে নিহত হয় ১৪ জন। এর মধ্যে ৫ ও ৬ বয়সী মেয়ে শিশুও রয়েছে। আছে সেনা সদস্যও। এ ছাড়া আটলান্টা, ভার্জিনিয়া, ডালাসসহ একাধিক এলাকায় সংগঠিত সহিংসতার তথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
[৭] এসব সহিংস ঘটনায় অন্তত ৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিকাগোতে দুজন পুলিশ অফিসার আহত হয়েছেন। বিগত দুই দশকের মধ্যে এমন সহিংসতার বছর গেছে মাত্র দুটি। এ ছাড়া সংখ্যা বিবেচনায় শিকাগোর হত্যাকাণ্ডের পরিমাণ নিউইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলেসের মোট হত্যাকাণ্ডের সংখ্যার সমান।
আপনার মতামত লিখুন :