বাশার নূরু: [২] সোমবার বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির যৌথ উদ্যোগে “রামপালমুখী ভারতীয় কয়লা, বিপদাপন্ন সুন্দরবন ও ইউনেস্কো বিশ্ব-ঐতিহ্য কমিটির আসন্ন সভা” শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাপা ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি সুলতানা কামাল।
[৩] বাপা’র সহ-সভাপতি রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, আমরা উন্নয়ন বিরোধী নই। যে কেন্দ্র এক সময় বন্ধ করতেই হবে সেই কেন্দ্রের পেছনে কেন টাকা খরচ করা হবে। সাধারণ মানুষও বোঝে রামপালের কারণে নদীর ক্ষতি হচ্ছে।
[৪] অধ্যাপক এম. এম. আকাশ বলেন, রামপালের ক্ষেত্রে সরকার কোনও যুক্তিতর্কই মানছে না। অনেক কেন্দ্র বাতিল করেছে। এটা কেনো করা যাচ্ছে না।
[৫] বাপা’র নির্বাহী সহ-সভাপতি এবং সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল মতিন বলেন, রামপাল এলাকার মানুষ ছাড়া বাইরে সবাই বুঝতে পারেন এটা কি ক্ষতি হতে পারে।
[৬] বাপা’র সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, আমরা এত প্রতিবাদ করার পরও রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ চালিয়েই যাচ্ছে। ইউনেস্কোর কথাও শুনছে না সরকার।
[৭] ক্যালিফোর্নিয়া (যুক্তরাষ্ট্র) থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলী ড. রনজিত শাহু বলেন, এটি অনুমোদন দেয়াই বড় ভুল। বিদ্যুৎ উৎপাদনের আরও অনেক জ্বালানি আছে। কয়লায় যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না।
[৯] বেলা’র প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা বলছি, সরকার শুনছে না। উনারা না শুনলেও এটা ইতিহাস হয়ে থাকবে।