শাহীন খন্দকার: [২] মহাখালী করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দীন বলেন, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে রোগী সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এদিকে রোববার সকাল থেকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সামনে রোগী নিয়ে একের পর এক এম্বুলেন্স এসে থামছে। বেশির ভাগ রোগীই ঢাকার বাইরের। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সংকট থাকায় তাদেরকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে। হাসপাতালের পরিচালক বলেন, শনিবার সকাল থেকে রবিবার পর্যন্ত নতুন রোগী এসেছে। আইসিইউতে ভর্তি আছে ১২৯ জন, এসডিওসহ অন্যন্য বেডে ভর্তি ৪৩০ জন। এছাড়াও বিদেশ ফেরত ২০ জন আইসোলেশনে আছেন বলে জানান তিনি।
[৩] পরিচালক বলেন, গত দুদিন ধরে সন্ধ্যার পরে বাইরের রোগীর সংখ্যা বেশি আসছে। আনুমানিক একশ’ জনের মতো রোগী আসলে ৭০-৮০ জন ভর্তি হচ্ছে। বাকিদের করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। তাদের মধ্যে যদি কারও পজেটিভ আসে তখন তাকে পরবর্তীতে অবস্থা বুঝে হাসপাতালে ভর্তি নেয়া হয়। অবস্থা ভালো মনে হলে বাসায় থেকে চিকিৎসার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। গত দু’সপ্তাহ ধরে হাসপাতালটিতে এভাবে প্রতিদিন বেড়ে যাচ্ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
[৪] টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থেকে রোমেনা খাতুন তার স্বামী আশরাফকে নিয়ে এসেছেন ডিএনসিসি হাসপাতালে। আশরাফের মুখে অক্সিজেন মাস্ক ছিল। এম্বুলেন্সের মধ্যে বড় বড় শ্বাস নিতে দেখা যায় তাকে। রোমেনা খাতুন বলেন, ১০-১২ দিন ধরে তার শরীরে জ্বর ছিল।
[৫] ঢামেকের পরিচালক ব্রি.জে. নাজমুল হক জানিয়েছেন, করোনা রোগী ভর্তি আছে ৫৯৩ জন, এর মধ্যে ২০ জন আইসিইউতে ভর্তি। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেঃ জেনারেল জামিল আহমেদ জানিয়েছেন, করোনা রোগী ভর্তি আছে ১৯৬ জন এর মধ্যে আইসিইউতে আছে ১০ জন।
[৬] কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালের পরিচালক ডা.এ কে এম সারওয়ার জানিয়েছেন, হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি ১৪৯ জন, এর মধ্যে আইসিইতে ভর্তি আছে ২৪ জন। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান বলেন, ১৯৬ জন করোনা রোগী ভর্তি আছেন, এরমধ্যে ১০জন রয়েছেন আইসিইতে। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান